কেবিসি ১৬-তে এসে অমিতাভ বচ্চনকে যা বললেন দুর্গাপুরের 'দেবুদা'
প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: ফের আরেকবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ কেবিসি-১৬। এবার এই শোয়ে প্রতিযোগী হয়ে হাজির হয়েছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার দেবোত্তম রায়। ভীষণই মজা করে দেবোত্তমের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। এ সময় তিনি দুর্গাপুরের এই প্রতিযোগীকে বলেন, আমি আপনাকে যথাযত সম্মান দিয়ে 'দেবুদা' বলে ডাকতে চাই। বিগ বির এ কথায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দেবোত্তম বলেন, আমাকে আমাদের গ্রামে এত বছর সবাই ম্যানেজার সাহেব বলে ডাকতেন, এবার সবাই দেবুদা বলে ডাকবেন। বলিউডের এই মেগাস্টারকে সামনে পেয়ে নিজের ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরে যান দেবোত্তম রায়। তিনি জানান, কীভাবে তিনি অমিতাভ বচ্চনের কারণে একবার বেজায় মার খেয়েছিলেন। ঠিক কী ঘটেছিল দেবোত্তমের সঙ্গে?
দেবোত্তম বলেন, স্যার, আমি একবার মার খেয়েছিলাম। কারণটা ছিল আপনার সিনেমা দোস্তানা দেখে। সেই সময় সেই ছবিতে আমি আপনার স্টাইল ও ব্যক্তিত্ব দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেই বেলবটম প্যান্ট, তখন অবশ্য আমি অনেক ছোট ছিলাম। মাকে আমার জন্য এ ধরনের প্য়ান্ট কিনে দিতে বলেছিলাম। তবে মা আমায় সাধারণ প্যান্ট কিনে এনে দেন। আর তাই আমি রাগে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। মা তাই আমার বেজায় মেরেছিলেন। তবে খোঁজ নিয়ে মা জানতে পারেন, বেলবটম তখনো বাজারে আসেনি। এরপর প্যান্ট ছেঁড়া নিয়ে প্রশ্ন করতেই আমি মাকে বলি— আমি আপনার (অমিতাভ বচ্চনের মতো) মতো প্যান্ট চাই। পরে তিনি আমাকে এক জোড়া বেলবটম প্যান্ট কিনে দেন।
এ কথা শুনে মজা করে অমিতাভ বচ্চন দেবোত্তমকে বলেন, আমি তখন এই প্যান্টগুলোকে এয়ারকন্ডিশনিং প্যান্ট বলতাম। কারণ বড় প্যান্ট হওয়ার কারণে পায়ে হাওয়া লাগত তাই। তবে শুনে খুশি হলাম যে, মার খাওয়ার পরও আপনি আমার মতো বেলবটম প্যান্ট কিনেছিলেন।
এরপর দেবুর (দেবোত্তম রায়) বিয়ের পরিকল্পনা জানতে চান বিগ বি। উত্তরে দুর্গাপুরের ওই প্রতিযোগী বলেন, আমি এটা আমার মায়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাই দেখা যাক। তারপর আবার বলেন, আমি যেখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করেছি, সেখানে পছন্দমতো পাত্রী খোঁজার কোনো সুযোগ ছিল না। দেবোত্তম বলেন, স্যার, আপনি যদি আমাকে পাত্রী খুঁজতে সাহায্য করেন, তাহলে খুব ভালো হয়। এরপরও অবশ্য বিগ বি দেবোত্তম রায়ের সঙ্গে মজা করতে ছাড়েননি।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের দেবোত্তম রায় কেবিসি থেকে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা জিতেছেন। ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তিনি খেলা ছেড়ে দেন।