আ.লীগ নেতার বাড়িতে ২ নারীর অনশন!
দুই নারীর দাবি, তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বদরুল হক বাদলের স্ত্রী। স্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদা, ভরণপোষণ, মারধর, খোঁজখবর না নেওয়া এবং স্বামীর নারী কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে তাদের এ অনশন।
প্রথম নিউজ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দশমিনায় অ্যাডভোকেট মো. বদরুল হক বাদল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অনশনে বসেছেন দুই নারী। দুই নারীর দাবি, তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বদরুল হক বাদলের স্ত্রী। স্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদা, ভরণপোষণ, মারধর, খোঁজখবর না নেওয়া এবং স্বামীর নারী কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে তাদের এ অনশন। বুধবার আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল হক বাদলের গ্রামের বাড়ি উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের জমির মৃধার মেলকার বাড়িতে অনশন শুরু করেন তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আ.লীগ নেতা বলেন, এগুলো প্রথম স্ত্রীর চক্রান্ত।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে কথা হলে দুই সন্তানের জননী কুলসুম বেগম বকুল নামে এক নারী যুগান্তরকে জানান, তিনি উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের উত্তর আদমপুর গ্রামের হাজি হাতেম আলী মৃধার মেয়ে। তার সঙ্গে আ.লীগ নেতা বদরুল হক বাদলের ১৯৯১ সালের ৩ নভেম্বর বিয়ে হয়। ২০১৭ সাল থেকে তার স্বামী নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যান। প্রায় সময়ই তার স্বামী মেয়েদের বাসায় নিয়ে এসে তাকে মারধর করেন। সেই সঙ্গে একাধিক বিয়ে, স্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদা, ভরণপোষণ ও স খোঁজখবরও নেন না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে একই সঙ্গে অনশনে বসা মুন্সীগঞ্জের আবদুল গণির মেয়ে মাসুমা নিজেকে আ.লীগ নেতা বাদলের তৃতীয় স্ত্রী দাবি করে যুগান্তরের কাছে অভিযোগ করেন, প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালে বাদলের সঙ্গে গোপনে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কখনো বাদল তাকে নিজের বাড়িতে নেননি। তার বাসায় বাদলের যাওয়া-আসা ছিল। অনেক দিন খোঁজখবর নেন না। তাই তিনি স্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদা ও ভরণপোষণের দাবিতে বাদলের বাড়িতে অনশনে এসেছেন।
অভিযোগের বিষয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বদরুল হক বাদল বলেন, মাসুমা আমার স্ত্রী নয়। ধর্ম বোন। বকুলের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় সে মাসুমাকে ঢাকা থেকে এনে এগুলো করিয়েছে। সমস্যার সমাধান হয়েছে। তারা এখন পটুয়াখালীর বাসায় আছেন। ঢাকা চলে যাবেন। তবে দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন।