আমি এই নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়ব : হিরো আলম
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটের ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ভোটে অনিয়ম ও জাল ভোটের ফুটেজ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমি এই নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়ব।
আজ রোববার (২৩ জুলাই) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে এ সংক্রান্ত আবেদন করেছেন তিনি। ওই আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।
আবেদনের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে জাল ভোট পড়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজ অমার কাছে রয়েছে। তাই স্পিকার স্যারকে বলব, আরাফাত ভাইকে যেন শপথ বাক্য না পড়ান। ইসিতে আপিল খারিজ করলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু ভোটে অনিয়ম ও জাল ভোটের ফুটেজ রয়েছে, তাই হাইকোর্টে যাব। আমি এই নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়ব।
হিরো আলমের আবেদনে যা আছে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতি আবেদন জানিয়ে হিরো আলম বলেছেন, গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে আমি আরশাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের দিন ১৭ জুলাই ই-মেইলের মাধ্যমে আপনাকে অবহিত করেছিলাম এই মর্মে যে, নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে আমার তালিকাভুক্ত মনোনীত প্রায় ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনের দিন বিকেল ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ভোটগ্রহণ পরিদর্শনে গেলে সরকার দলীয় ক্যাডারেরা আমাকে মারধর করে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা, যা দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি মানুষ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। ওই ঘটনার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার মনোনীত এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে ভোট গণনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ নির্বাচনবিধি পরিপন্থি। আমার ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা, ব্যাপক জাল ভোট ও ভোট গণনার অনিয়ম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই আমি মনে করি এই নির্বাচন বিধিসম্মত হয়নি।
অতএব, এই প্রহসনের নির্বাচনকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করছি। সেই সঙ্গে ফলাফল বাতিল করে আমার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।