আমের খোসার নানা গুণ, খাবেন কীভাবে?
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আম খেয়ে খোসা ফেলে দিচ্ছেন? জেনে নিন এর উপকারিতা-
- আমের খোসায় শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যেগুলো ক্যানসার রোধ করে
- বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন-অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমের খোসার চা অনেক উপকারি
আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ক্যারোটিনয়েডস এবং পলিফেনল। যা হার্ট ভাল রাখে। এমনকি ক্যানসারও রুখে দিতে পারে আম।
এছাড়া আমের খোসায় শক্তিশালী কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যেগুলো ক্যানসার কোষের রোধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিন্তু আমের খোসাটি খাবেন বা ব্যবহার করবেন কী ভাবে?
আমের খোসার চা
চা পাতার পাশাপাশি বর্তমানে নানা ধরনের পাতা বা ফুলের পাপড়ি দিয়ে চা বানিয়ে পান করে থাকে অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। আর তাই আমের খোসা দিয়ে তৈরি চাও পান করে থাকেন অনেকে। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয় শরীরের জন্যেও ভাল। আমের শাঁস-সহ খোসা ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। তার পর ছোট ছোট টুকরো করে চায়ের পাতার সঙ্গে সেগুলিকে মিশিয়ে রাখুন। পানিতে ভাল করে ফুটিয়ে নিলেই ‘ম্যাঙ্গো টি’ তৈরি। স্বাদ বাড়াতে এই পানীয়ে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।
আমের খোসা দিয়ে আচার
শুধু কাঁচা নয়, রোদে শুকিয়ে নেওয়া আমের খোসা দিয়েও আচার তৈরি করা যায়। ভিনেগার, লবণ, চিনির সঙ্গে নানা রকম মশলা দিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। কয়েক সপ্তাহ রেখে নিলেই আচার রেডি। ভাত, পরোটা কিংবা খিচুড়ি দিয়ে খেতেই ভাল লাগে।
আমের খোসার জুস বা স্মুদি
আমের খোসা দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমের কয়েকটি টুকরার সাথে আমের খোসা মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে খেতে পারেন। চাইলে স্মুদিতে আরও স্বাস্থ্যকরি উপাদান এবং ফলমূল যোগ করা যেতে পারে।
আমের খোসার স্ক্রাব
পাকা আমের খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখা যেতে পারে। চালের গুঁড়ো, ওটমিল কিংবা আটার মতোই এই ফলের খোসা গুঁড়ো এক্সফোলিয়েটর হিসেবে দারুণ কাজ করে। আমের খোসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি কিংবা ব্রণ কমাতে আমের খোসা উপকারি।