আক্ষেপ ও গৌরব নিয়ে মাঠে নামছে মরক্কো

আক্ষেপ ও গৌরব নিয়ে মাঠে নামছে মরক্কো
আক্ষেপ ও গৌরব নিয়ে মাঠে নামছে মরক্কো

প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়ার চলমান ধারা থামে সেমিফাইনালে। এতে তাদের ফাইনাল না খেলতে পারার আক্ষেপ আছে । তবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াইয়ে জিতে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগও থাকছে তাদের। মরক্কো জিতলে আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করবে। প্রজন্মের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার লুকা মদরিচের এটি শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে পারে। ক্রোয়েশিয়াকে জিতিয়ে মদরিচও চাইবেন শেষটা রাঙাতে। আল রাইয়ানের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি বলেন, ‘চতুর্থ হওয়ার চাইতে তৃতীয় হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু আমরা ফাইনালে পৌঁছাতে পারিনি। আমরা রোববারের ফাইনাল খেলতে চেয়েছিলাম। আগামীকাল নয়।’ ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাটকো দালিচের জন্যও এটি আক্ষেপের ম্যাচ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জিতলে রোববারের ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ থাকতো তারা।

 স্বাধীনতা লাভের পর ক্রোয়েশিয়া প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিতে খেলেছিল ১৯৯৮ সালে। স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে ডেভর সুকারের গোলে শুরুতে লিড নিয়েও ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় ক্রোয়াটরা। এরপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সুকার ও রবার্ট প্রসিনেস্কির গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারায় তারা। রাশিয়ায় ২০১৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে পৌঁছায়। তবে এবারও ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয় দলটি। কাতার বিশ্বকাপে একই গ্রুপে পড়েছিল মরক্কো-ক্রোয়েশিয়া। গত ২৩শে নভেম্বর গ্রুপের সাক্ষাতে দু’দল মাঠ ছাড়ে গোলশূন্য সমতা নিয়ে। এর আগে মাত্র একবারই দেখা হয়েছিল তাদের। ১৯৯৬  সালে একটি ফ্রেন্ডলি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ২-২ সমতার পর টাইব্রেকারে ৭-৬ ব্যবধানে জেতে ক্রোয়েশিয়া। এবার তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে মরক্কো হয় গ্রুপসেরা আর ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে শেষ ষোলোতে যায় ক্রোয়েশিয়া। সেখানে তারা টাইব্রেকারে ৩-১ (১-১) ব্যবধানে হারায় জাপানকে। ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ক্রোয়েশিয়া।

 সেলেসাওদের ৪-২ (১-১) ব্যবধানে হারায় জ্লাটকো দালিচের দল। তবে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ৩-০ গোলের হারে থামে ক্রোয়েশিয়ার যাত্রা। কানাডার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ে ৩৬ বছর পর শেষ ষোলোয় পৌঁছায় মরক্কো। সেখানে স্পেনকে টাইব্রেকারে ৩-০ (০-০) গোলে হারিয়ে প্রথমবার ওঠে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। আর পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারানোর মধ্য দিয়ে মরক্কো গড়ে নতুন ইতিহাস। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে শেষ চারে খেলার গৌরব অর্জন করে ওয়ালিদ রেগরাগির শিষ্যরা। সেমিতে ফ্রান্সের সঙ্গে দারুণ লড়াই করেও মরক্কো হেরে যায় ২-০ গোলে। ম্যাচের পর রেগরাগি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি, ইতিমধ্যেই অনেক বড় কিছু অর্জন করে ফেলেছি আমরা। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টিভি এবং সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, তারা আমাদের পারফরম্যান্সে গর্বিত।’ 

এক টুর্নামেন্টে সাতটি ম্যাচ খেলাটাও গর্বের বিষয় বলেই মনে করেন রেগরাগি, ‘আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, এটা বিশ্বকাপে আমাদের সপ্তম ম্যাচ। আপনি মরক্কোর যেকোনো সমর্থককে আমাদের এই সপ্তম ম্যাচ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারেন। তারা গর্ববোধ করবে। এর আগে মরক্কো চারটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিল। এখন আমরা এক মাসের মধ্যেই ছয়টি ম্যাচ খেলেছি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা দারুণ।’ ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রেগরাগি। মরোক্কান কোচ বলেন, ‘আমরা জানতাম ক্রোয়েশিয়া টুর্নামেন্টের সেরা দলগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিল। প্রথম ম্যাচ বলে দুটি দলেরই কিছু  কিছু জায়গায় ঘাটতি ছিল। শনিবার উভয় দলই জিততে চাইবে। ম্যাচটা জমজমাট হবে।’

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom