আওয়ামী লীগ কখনো সদিচ্ছাপ্রসূত রাজনৈতিক আচরণ করেনি: রিজভী
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কোনোকালেই নিপীড়ক আওয়ামী সরকার সদিচ্ছাপ্রসূত রাজনৈতিক আচরণ করেনি। ওদের হাতের মুঠোয় ধ্বংসের শক্তি আর ভাষায় বিদ্বেষের শক্তি।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ প্রত্যাখান করেছে। অনেক অনুনয়-বিনয় আর স্বৈরাচারী উগ্র প্রতিমূর্তি ধারণ করেও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেনি। কারণ জনগণ আগেই টের পেয়েছিল এরা ভোটকেন্দ্রে লোক সমাগম দেখিয়ে সন্ধ্যাবেলায় পূর্বনির্ধারিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য হিসেবে নাম ঘোষণা করবে। সেটি ভোটের দিন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এরা নির্বাচনকে পচে-গলে বিকৃত করেছে। আর এই ধোঁকাবাজির নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গত তিন-চার মাস ধরে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশবিক নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনে অনেকেই কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। কারা হেফাজতে ও রিমান্ডে নির্যাতন পৃথিবীর সব জালিমশাহীর রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কারও হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কারও হাত ও পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে, কারও চোখের আলো নিভে গেছে পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলিতে।
তিনি আরও বলেন, এখন অনেকে আদালত থেকে জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না। জামিনের কাগজ নিয়ে কারাফটক থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও নতুন মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। আওয়ামী পুলিশ-প্রশাসন বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলোর নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে খেলছে। অবৈধ সরকার যেন নিজেদের টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জামিনে মুক্তি পেলেও জেলগেটে অপেক্ষমাণ গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের টাকা না দিলে তাদের মুক্তি মিলছে না। অসংখ্য গরিব নেতাকর্মী জেলগেটের টাকা না দেয়ার কারণে কারাগারেই ধুকে ধুকে জীবন কাটাচ্ছে। জেলগেটে অনাচার এবং টাকার বিনিময়ে মুক্তির নিশ্চয়তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, আজ দেড় দশক ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা চুষে নেওয়ার জন্য।