৭ তারিখের নির্বাচনে সংবিধানকে আরেকবার জবাই করেছে আ.লীগ: ফারুক
প্রথম নিউজ,ঢাকা: আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও সদস্য, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আপনারা যে সংবিধানের দোহাই দেন সেই সংবিধানকে আপনারা টুকরো টুকরো করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৪ দিন হরতাল করেছেন। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জবাই দিয়েছেন আপনারা। ৭ তারিখের নির্বাচনে সংবিধানকে আরেকবার জবাই করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমপি এখন ৬০০ জন। ২৯ তারিখ পর্যন্ত আগের সংসদ বহল থাকবে। সেই সংসদ সদস্যরা এখনো বহাল। আবার নতুন এমপিদের শপথ করালেন। কোন আইনে কোন সংবিধানে এদেরকে শপথ করালেন? সংবিধান আপনারা মানেন না সংবিধানের কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে আর অপমান করেন না।
বুধবার ১৭ জানুয়ারী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ কারাবন্দী সকল নেতৃবৃন্দদের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন ।
ফারুক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে খুব দ্রোহ অবস্থা বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে এদেশে অগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যে নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি শূন্যতায় ছিল। অনেকেই বলে আমাদের আন্দোলন সফল হয়নি। আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে, গণতন্ত্রকে আমি দেশের জনগণের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমরা হরতাল অবরোধে ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু আওয়ামী লীগ বাস পুড়িয়ে রেললাইন উপিয়ে ফেলেছে এবং রেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করে ৭ তারিখের নির্বাচন করেছে। সেই নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিতে যায়নি তারা সেই নির্বাচন গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। অথচ তারা নিজেরাই দাবি করে তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক। তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক হলে বাংলাদেশের এ করুন অবস্থা কেন? কেন মৃত ব্যক্তি ভোট দিতে হয়? কেন দিনের ভোট রাতে হয়? কেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়?
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ইতিহাসে লেখা আছে কোন স্বৈরাচার চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। গণতন্ত্রকামি আন্দোলনে সাময়িক সমস্যা হতে পারে তবে আমি দৃর্র ভাবে বলতে চাই এই সরকার কোনদিনও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কারণ যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। তাদেরকে (সরকার)জনগণও বিশ্বাস করে না।
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাতী দলের যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনির, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম মিয়া, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, গণতন্ত্র ফোরামের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।