৪০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ছাড়াল ৯ শতাংশ

একইসঙ্গে আশির দশকের শেষের দিকে ব্রিটেনে সরকারি ভাবে মূল্যস্ফীতির হিসাব রাখা শুরু হওয়ার পর থেকেও এই হার সর্বোচ্চ

 ৪০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ছাড়াল ৯ শতাংশ
৪০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ছাড়াল ৯ শতাংশ-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। গত এপ্রিল মাসে দেশটিতে বার্ষিক ভোক্তা মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ৯ শতাংশে। ১৯৮২ সালের পর থেকে এই হার সর্বোচ্চ। একইসঙ্গে আশির দশকের শেষের দিকে ব্রিটেনে সরকারি ভাবে মূল্যস্ফীতির হিসাব রাখা শুরু হওয়ার পর থেকেও এই হার সর্বোচ্চ।

বুধবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনীতিবিদদের মধ্যে পরিচালিত রয়টার্সের একটি জরিপে ব্রিটেনের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার ভোক্তা মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে সর্বশেষ সম্ভবত ১৯৮২ সালের কাছাকাছি সময়ে সবচেয়ে বেশি ছিল।

বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ পরিবারগুলোকে আরও সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে চাপের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক। তিনি বলছেন, বিশ্বজুড়ে দেশগুলো উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং গত এপ্রিল মাসে ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতির এই উল্লম্ফনে গত মাসের জ্বালানি শুল্কের বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করছে।

সুনাক বলছেন, ‘আমরা এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো থেকে মানুষকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করতে পারছি না। তবে যেখানে সম্ভব সেখানে আমরা উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করছি। এছাড়া আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছি আমরা।’

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছিল, চলতি বছরের শেষের দিকে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অবশ্য কেবল যুক্তরাজ্যই নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। গত একমাস ধরে কার্যত ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। হাঙ্গেরি জ্বালানি এবং খাবারের দাম ফ্রিজ করে দিয়েছে। জাপানে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আফ্রিকায় খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে, যা সামাজিক লড়াইয়ে রূপ নিতে পারে। সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বজুড়েই এক অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ সেই অবস্থায় আরও ইন্ধন দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে গত মার্চ মাসে আরেক ইউরোপীয় দেশ জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি সাত দশমিক তিন শতাংশে পৌঁছায়। এরপর এপ্রিল মাসে তা আরও বৃদ্ধি পায়। ১৯৮১ সালে পশ্চিম জার্মানি শেষ এমন দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি দেখেছিল। অর্থাৎ এই মুদ্রাস্ফীতি গত চার দশকে ঘটেনি।

মূলত তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এই হারে মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউরোপের অনেক দেশ তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই সেসব দেশের জ্বালানিখাতে ব্যয় বাড়তে থাকে। আর তারই প্রতিফলন ঘটছে সার্বিক অর্থনীতিতে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom