সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব: মেয়র আতিক
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শ্যাওড়াপাড়ায় মেহফিল কনভেনশন সেন্টারে একটি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শ্যাওড়াপাড়ায় মেহফিল কনভেনশন সেন্টারে একটি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর জন্য প্রাণ যাচ্ছে। একটি প্রাণের জন্য একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। যার যায় সে-ই বুঝতে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধকে একটি সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব। এডিস মশার জন্ম হয় ঘরের ভেতরে। আমরা যদি সামাজিক আন্দোলন করে পরিবর্তন না আনতে পারি এটা আমাদেরকে আরও অনেক বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দিবে।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন, মশা কিন্তু এখন নাই। কিন্তু যে কয়টাই আছে সেগুলো এডিস মশা। আমাদেরকে মশারির ভেতরে থাকতে হবে। তাই আমি মনে করি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা, সচেতনতা এবং সচেতনতা প্রয়োজন।
খেলার মাঠ প্রসঙ্গে জনসাধারণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বিল্ডিং এবং দোকানপাট হবে। কিন্তু আমরা যদি মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে না পারি, তাহলে কিন্তু এই বিল্ডিং গড়ে তুলে আমাদের কোনো লাভ হবে না। আমিও আপনাদের সাথে একই সুরে বলতে চাই- ‘বাচ্চাদের জন্য খেলার মাঠ চাই। ’
তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় সরকারি কোনো জায়গা নাই, সবই জনসাধারণের। আমি আপনাদেরকে বলবো, কোন জায়গা দখল রয়েছে, কোন জায়গায় খাস জমি রয়েছে আমাকে কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করুন। দুই কাঠা কিংবা দুই বিঘা জমি হোক আমাদের কাছে সব ধরনের আর্কিটেকচারাল সলিউশন আছে। খেলার মাঠ না থাকার ফলে আমরা যে সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, সেটা আমাদেরকে বুঝতে হবে। যেখানে যেখানে ঢাকা জেলা পরিষদের জায়গা আছে, সেগুলোকে কীভাবে খেলার মাঠ করতে পারি, আমার পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। মত বিনিময় সভায় স্থানীয় জনসাধারণ মেয়রের কাছে এলাকার উন্নয়নে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, খেলাধুলায় জন্য মাঠসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার হুমায়ুন রশিদ জনির সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া সরণি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. জাহিদ, সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. লিয়াকত আলী।