সাঁতারের সুবিধা-অসুবিধা
যেকোনো শরীরচর্চা যেমন জিমে কাটানো, সাইক্লিং, দৌড়ানোর মধ্যে সাঁতারই হলো একমাত্র ব্যায়াম যেখানে পুরো শরীর কাজ করে।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: সাঁতারের সুবিধা-অসুবিধা
১. আপনি কী প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সাঁতার কাটার পরিকল্পনা করছেন? অন্য যেকোনো শরীরচর্চা যেমন জিমে কাটানো, সাইক্লিং, দৌড়ানোর মধ্যে সাঁতারই হলো একমাত্র ব্যায়াম যেখানে পুরো শরীর কাজ করে।
২. বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি গবেষণা গ্রন্থের মতে, টানা আট সপ্তাহের সাঁতার কাটা অবিশ্বাস্য উন্নয়ন করে মানব শরীরের, যেখানে অ্যাথলেটদের মতো শারিরীক দৃঢ়তা তৈরি শুরু হয়, হৃদযন্ত্রের পেশিগুলোর সংকোচন কমে, শরীরের নানা অংশ এমনকি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশেরও উন্নয়ন ঘটে।
৩. সব ধরণের হৃদরোগ কমে। সাঁতার কাটা মানুষের জন্য খুবই উপকারী।
৪. সাঁতারের ফলে মানুষের চুল কালো হয়।
৫. শরীরের কোঁচকানো চামড়া দূর হয়।
৬. পায়ের আঙুলগুলোর ও পায়ের পেশির দৃঢ়তা বাড়ে।
৭. সাঁতারের ফলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে।
৮. মানব শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
৯. খিুঁচুনির মতো রোগগুলোর বিপক্ষে সাঁতার প্রাকৃতিক ওষুধ।
১০. রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচার প্রাকৃতিক পন্থা।
১১. হিটস্ট্রোক থেকেও মানুষকে বাঁচায়।
১২. মানুষের ক্লান্তি ও গ্লানি দূর করতে সাঁতারের কোনো জুড়ি নেই।
১৩. সাঁতার খুব প্রশান্তিময় কাজ।
১৪. তারপরও সুইমিং পুলের পানিতে সাঁতরানোর বিপদ আছে। কোনো মানুষ যখন সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন, তখন সেখানে ক্লোরিন মেশানো থাকে। কেননা, অনেক ধরণের জীবাণুকে মারতে হয়। সেগুলোর মধ্যে আছে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ নানা ধরণের অনুজীব। এই ক্লোরিনময় পানি মানুষের চুলের জন্য খুব ক্ষতিকর। মাথার চুল ভেঙে যাবার প্রধান কারণ হয়।
১৫. চুলকে কোঁকড়া করে দেয়।
১৬. আপনার যদি হালকা রঙের চুল হয়, ফলে মাথার চুলের রং ক্লোরিন মেশানো পানিতে সাঁতারের ফলে বদলে যায়।
১৭. ফলে কাউকে যদি ক্লোরিন মেশানো পানি নিয়মিত সাঁতার কাটতে হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই সাঁতরানোর আগে ও পরে চুল আঁচরাতে হবে। তাতে তিনি বাঁচবেন চুলের ক্ষয় ও কোঁচকানো থেকে।
১৮. নিয়মিত সাঁতরানো মানুষদের চুলে দুগন্ধ হয়-এটি নিয়মিত। কেননা তারা ক্লোরিন মেশানো পানিতে নামেন। ফলে নিয়ম মেনে সাঁতরাতে হবে।
১৯. মানুষের গাঁটের ব্যাথা দূর করা এবং বিভিন্ন সংযোগস্থলগুলোকে স্বাভাবিক ও ভালো রাখায় সাঁতারের অত্যন্ত সুনাম রয়েছে।
২০. পুরো শরীরকে সাঁতার শক্তিশালী করে।
২১. মানব দেহের রক্তনালীগুলোকে অত্যন্ত ভালো এবং ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করে তোলে।
২২. তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সাঁতারের ফলে রক্তনালীগুলো আঘাতপ্রাপ্তও হতে পারে।
২৩. গবেষণার মাধ্যমে আরো জানা গিয়েছে, সাঁতারের ফলে হাঁটুর প্রদাহ কমে।
২৪. আবার যারা বেশি সাঁতার কাটেন বিশেষত যারা ব্যাকস্ট্রোক করেন, তাদের হাঁটুর প্রদাহ বাড়ে।
২৫. যাদের ক্লোরিনযুক্ত পানিতে দীর্ঘক্ষণ কাটাতে হয়, তাদের শরীরের চামড়া কুঁচকে যেতে শুরু করতে পারে। ফলে অনেকটা সময় সুইমিং পুলের ক্লোরিন মেশানো পানিতে না থাকাই ভালো।
২৬. পানি অন্য কোনো মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করলে মানুষের শরীরে আরেকজনের কাছ থেকে জীবাণু প্রবেশেরও ঝুঁকি তৈরি হয়। এই সমস্যাটি হয় যখন কোনো সুইমিং পুলে ক্লোরিন ও হাইড্রোকাবনের মাত্রা ঠিক থাকে না, তখন এই রোগগুলোতে আক্রান্ত হবার সমস্যা তৈরি হয়।
২৭. কোনো পুকুর বা সুইমিং পুল ক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক ব্যবহার করলেও অন্যদের কাছ থেকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি তৈরি হয়।
২৮. আবার কোনো প্রাকৃতিক পুকুর স্বাস্থ্যসম্মত না হলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হতে থাকেন।
২৯. কান এভাবে বেশি আক্রান্ত হয়। আবার মানুষ বেশিক্ষণ পুলে থাকলে তিনি এই উপায়ে রোগাক্রান্ত হয়ে যান। কেননা জীবাণুগুলো সহজে ও দ্রুত কানের মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে। ফলে কানে ব্যথা হয় সবার আগে। ফলে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews