সকাল ৮টা-দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল

শুরুতে কোনো স্টপেজ ছাড়াই সরাসরি উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে ট্রেন।

সকাল ৮টা-দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
সকাল ৮টা-দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: চালু হওয়ার পর প্রথমদিকে মেট্রোরেল প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে চালানো হবে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। যাত্রীরা মেট্রোরেল ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেট্রোরেল পরিচালনার সময় বাড়ানো হবে। শুরুতে কোনো স্টপেজ ছাড়াই সরাসরি উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে ট্রেন। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক আজ রোববার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফেরি চলাচল ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ রেখেছিলাম। পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। বর্তমানে এ নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে।তিনি জানান, মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে এককালীন ও দীর্ঘমেয়াদী (সিঙ্গেল-মাল্টিপল) ব্যবহারের কার্ড বিক্রি শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করবেন। তার পরদিন থেকে সাধারণ মানুষ মেট্রোতে চলাচল করতে পারবে। এর আগে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ প্রথম কয়েকদিন সকালে ২ ঘণ্টা ও সন্ধ্যায় ২ ঘণ্টা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে জানান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, 'তবে আমরা জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে শুরুতে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' এছাড়া ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর থেকেই টিকিট বিক্রি শুরুর কথা ছিল। এম এ এন সিদ্দিক বলেন, 'উদ্বোধনের পর নিরাপত্তা কর্মীদের মেট্রোরেল স্টেশন ত্যাগ করতে সময় লাগবে। তাই আমরা ২৯ ডিসেম্বর সকাল থেকেই টিকিট বিক্রি শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, মেট্রোরেলের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করতে ৩ মাস সময় লাগবে।

দুই ধরনের কার্ড থাকবে। একটি একবার ব্যবহারের জন্য এককালীন এবং অন্যটি একাধিকবার ব্যবহারের জন্য দীর্ঘমেয়াদী। যারা স্টেশন থেকে একবার ব্যবহারের কার্ড কিনবেন, তাদের যাত্রার পর স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানারে না দিয়ে পাসটি নির্দিষ্ট চেম্বারে জমা দিয়ে দিতে হবে। একাধিকবার ব্যবহারের কার্ড ১০ বছর ব্যবহার করা যাবে। এই কার্ডের জন্য যাত্রীদের নিবন্ধন করতে হবে এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে। ৪০০ টাকার মধ্যে ২০০ টাকা জমা হিসেবে এবং ২০০ টাকা ভ্রমণের জন্য ব্যয় করা যাবে। এতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা রিচার্জ করা যাবে।  মেট্রোরেল স্টেশনে অথবা বিভিন্ন অনলাইন বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়েও এমআরটি পাসের ব্যালেন্স রিচার্জ করা যাবে। 

স্বয়ংক্রিয় দরজা দিয়ে ঢোকার সময় কার্ড স্ক্যান করলে যাত্রী এন্ট্রি রেজিস্ট্রার হয়ে যাবে। নামার সময় আবার স্ক্যান করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া কেটে নেওয়া হবে।  প্রতিটি স্টেশনে টিকিট সংগ্রহ করার স্বয়ংক্রিয় বুথ থাকবে। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র থেকে টিকিট কিনতে না চাইলে সাধারণ উপায়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার সুযোগ থাকবে।  তবে আপাতত নগদ টাকা দিয়ে কার্ড কিনতে হবে। এম এ এম সিদ্দিকী বলেন, 'মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে, যেন যাত্রীরা মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে কার্ড কিনতে পারে।'

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom