মেসির বার্সেলোনায় ফেরা হচ্ছে না
আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের সম্ভাব্য নতুন ঠিকানার তালিকায় সবার ওপরে ছিল বার্সেলোনার নাম।
প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: লিওনেল মেসির ভবিষ্যত কী? ইউরোপিয়ান ফুটবলে বহুল চর্চিত এই বিষয়ের নিশ্চিত কোনো উত্তর নেই। ক্ষণে ক্ষণে মেসির পরবর্তী ঠিকানা নিয়ে নতুন সব খবর দেয় গণমাধ্যমগুলো। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের সম্ভাব্য নতুন ঠিকানার তালিকায় সবার ওপরে ছিল বার্সেলোনার নাম। নতুন খবর দিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘বার্সা ইউনিভার্সাল’। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সম্ভাবনা শেষ। মেসির বার্সেলোনায় ফেরা হচ্ছে না।
আগামী ৩০শে জুন পিএসজির সঙ্গে লিওনেল মেসির ২ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। বার্সা ইউনিভার্সাল জানিয়েছে, ফ্রি এজেন্ট হওয়ার আগেই নতুন কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। স্প্যানিশ সাংবাদিক মার্সেলো বেচলারের বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছে বার্সা ইউনিভার্সাল।
বেচলার জানান, মেসির বার্সেলোনায় ফেরার সম্ভাবনা প্রায় শেষ। কাতালান ক্লাবটি আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে ভেড়াতে পারবে না। এই মার্সেলো বেচলারই ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারের বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তাই তার দেয়া মেসির বার্সেলোনায় না ফেরার খবরটিও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
শুধু কি মার্সেলো বেচলার? আরেক স্প্যানিশ জার্নালিস্ট সিজার লুইস মেরলোরও একই ভাষ্য। এই সাংবাদিকের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মেসি। আর সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ গুছিয়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে প্রস্তাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত নয় বার্সেলোনা। মেরলোর দাবি, মেসি হয়তো সৌদি প্রো লীগের দল আল হিলাল এফসির প্রস্তাবে সাড়া দিতে পারেন।
মেসিকে ভেড়াতে দফায় দফায় বিশাল পারিশ্রমিকের অফার করছে আল হিলাল এফসি। শুরুতে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো বার্ষিক বেতন প্রস্তাব করে প্রো লীগের দলটি। পরে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো অফার করে তারা। এখানেই থেমে নেই। আল হিলালের প্রস্তাবিত সবশেষ প্রস্তাবটি বার্ষিক ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর। আর্জেন্টাইন ফুটবল বিশ্লেষক মোরা ওয়াই আরোহো মনে করেন, টাকার জন্যই সৌদি প্রো লীগে যোগ দেবেন মেসি।
সম্প্রতি সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরোহো বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বড় প্রভাবক টাকা। অনেকেই বলে মেসির আর টাকার প্রয়োজন নেই। তবে আমার মনে হয়, মেসিকে পেতে হলে সৌদি আরবের দলের প্রস্তাবের সঙ্গে বাকিদের লড়াই করতে হবে।’