মেডিকেল প্রশ্নফাঁস: ডা. তারিমসহ ৬ জন রিমান্ডে
চারদিনের জন্য রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ডা. অনিমেষ কুমার কুন্ডু (৩৩) ও ডা. কে এম বশিরুল হক (৪৮)।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের প্রধান ডা. মো. ইউনুচ উজ্জামান খাঁন তারিমসহ (৪০) তিনজনকে চারদিন ও ডা. জাকারিয়া আশরাফসহ (২৬) তিনজনকে দুদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মুসতাহিন হাসান লামিয়াসহ চারজনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
চারদিনের জন্য রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ডা. অনিমেষ কুমার কুন্ডু (৩৩) ও ডা. কে এম বশিরুল হক (৪৮)।
দুইদিনের জন্য রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মাকসুদা আক্তার মালা (৫২) ও জাকিয়া ফারইভা ইভানা (৩৫)। এছাড়াও কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা (২৪), মৈত্রী সাহা (২৭) ও ডা. সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী (২৫)।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিনজনের চারদিন ও তিনজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া চারজনের চার আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় মোট ১৭ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২২ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তি দেন ডা. শর্মিষ্ঠা মন্ডল (২৬) ও ডা. লুইস সৌরভ সরকার (৩০)। দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্নফাঁসকারী সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। পাবলিক পরীক্ষা আইনের-৪/১৩ তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের -২২(২)/২৩(২) এ মামলা করা হয়।