পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করে যে বার্তা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ওয়েবসাইট হ্যাকড বাই R3SISTANC3। তার নিচে লেখা, অপারেশন হান্টডাউন। স্টপ কিলিং স্টুডেন্টস।

পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করে যে বার্তা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশ পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ওয়েবসাইট হ্যাকড বাই R3SISTANC3। তার নিচে লেখা, অপারেশন হান্টডাউন। স্টপ কিলিং স্টুডেন্টস। সেখানে লেখা হয়েছে, এটা আর প্রতিবাদ নয়, এটা এখন যুদ্ধ। ছাত্রলীগের ওয়েবসাইটেও এই একই বার্তা দিয়ে হ্যাক করা হয়েছে।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সারা দেশে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তরায় ছয়জন, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী এবং রামপুরা, সাভার, মাদারীপুর ও নরসিংদীর একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারজনের মরদেহ রয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর গণমাধ্যমকে বলেছেন, চারজনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। দুজনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এর আগে উত্তরায় পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আরও দুজন নিহতের খবর পাওয়া যায়। তাদের একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং আরেকজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যান। 

রামপুরায় পুলিশ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুলাল মাতবর নামে এক ড্রাইভার নিহত হয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।

সাভারে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে গিয়ে এমআইএসটির এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসূফ আলী বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

মাদারীপুরে কোটা আন্দোলনকারী, পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের শকুনী লেকের পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। দুপুরের দিকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস। দীপ্ত মাদারীপুর সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শহরের আমিরাবাদের বাদামতলা এলাকার স্বপন দে ছেলে তিনি।

নরসিংদী সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাহমিদ তামিম নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আরএমও মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার গায়ে রাবার বুলেটের চিহ্ন ছিল। নিহত তাহমিদ তামিমের বাড়ি সদর উপজেলার চিনিশপুরে। সে নরসিংদী এন কে এম হোমস অ্যান্ড স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।