নিষেধাজ্ঞাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে কাজ করতে চাই: কংগ্রেসম্যান মিকস
অবশেষে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান, রিপ্রেজেনটেটিভ গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের 'ডেসিগনেশন' সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: র্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে দেশটির কংগ্রেস সদস্য এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকসের বক্তব্য নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি ঠিক কি বলেছেন তা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন তথ্য দিলেও মানবজমিনের "কংগ্রেসম্যান মিকস কী বলেছেন, একটি ময়নাতদন্ত" শিরোনামের এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অবশেষে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান, রিপ্রেজেনটেটিভ গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের 'ডেসিগনেশন' সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি কমিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে মিকস বলেনঃ “টার্গেটেড স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয় বলেই আমার বিশ্বাস এবং আমি বিশ্বাস করি না যে বাংলাদেশের উপর এই মুহুর্তে গণহারে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। যাই হোক, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট এর অধীনে বাইডেন প্রশাসন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর বেশ কিছু বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যের ব্যাপারে যে অবস্থান নিয়েছে তাকে আমি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। আমি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে সমর্থন করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এটা নিশ্চিত করা সহ দেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য কাজ করতে আমি উন্মুখ।"
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের যাত্রা (২০ জানুয়ারি ২০২১) এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মিকসের যাত্রা (০৩ জানুয়ারি) প্রায় একই সময়ে শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য মিকস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত। গত বছরের জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের সম্মানে হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত নৈশভোজে আমন্ত্রিত ২৫ জন অতিথিদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনদের সাথে মিকস জায়গা করে নিয়েছিলেন বলে নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। এছাড়া বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রচারে নিজ দেশের হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন মিকস। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় মিকসকে ক্লিনটনদের (বিল ও হিলারি) ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: