নিজ দলের মধ্যেই চাপে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

নিজ দলের মধ্যেই চাপে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী
নিজ দলের মধ্যেই চাপে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : কোয়াসি কোয়ার্টেংকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করায় নিজ দলের এমপিদের সমালোচনার শিকার হচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সরকারের অর্থনৈতিক নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন নিয়েও অখুশি কনজারভেটিভ নেতারা। বিবিসিকে এক সাবেক মন্ত্রী বলেন, আমরা এভাবে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলতে পারি না। আরেক কনজারভেটিভ এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর দলের সদস্যরা ‘হতাশাগ্রস্থ’ হয়ে আছেন।  ট্রাসের সমর্থক ক্রিস্টোফার চোপ বলেন, এখন সময়ই বলে দেবে ট্রাস তার পদ ধরে রাখতে যথেষ্ট করেছেন কিনা কিন্তু যারা তাকে সরাতে চায় তারা আসলে ‘হায়েনা’। আমরা এখন আরও একজন প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টে দিতে পারি না। আমাদেরকে অবশ্যই শান্ত হতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিতে হবে।  শুক্রবার অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং-কে বরখাস্ত করেন লিজ ট্রাস। পাশাপাশি কোয়ার্টেং-এর সময়কার ট্যাক্স নীতিতেও বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। স্যার ক্রিস্টোফার বলেন, এই পরিবর্তন প্রবৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সামনের দিনগুলোতে ট্রাসকে ক্ষমতায় থাকতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন আরেক কনজারভেটিভ এমপি অ্যান্ড্রু ব্রিজেন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ঋষি সুনাককে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। 

তার দাবি, পার্লামেন্টারি পার্টিতে ট্রাসের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে ব্যাপক অসন্তুষ্টি রয়েছে। তিনি যা করতে বলেছিলেন, তা করার জন্য কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করা হলো। এতে অন্য নেতারা তার প্রতি অনুগত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।  গোপনে অনেক কনজারভেটিভ এমপিই জানিয়েছেন যে, তারা প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণে প্রচণ্ড হতাশ। অনেক এমপি মনে করেন, লিজ ট্রাসের সময় শেষ হয়ে আসছে। জেরেমি হান্টকে অর্থমন্ত্রী করার মধ্য দিয়ে তিনি মূলত তার পরবর্তী উত্তরাধিকারী রেখে যাচ্ছেন। এটি তার পতনকে আরও এগিয়ে আনবে। আরেক এমপি ট্রাসের সংবাদ সম্মেলনকে ‘মহাদুর্যোগ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, লিজ ট্রাসকে পদত্যাগ করতে হবে, তিনি করবিনের থেকেও খারাপ।

যদিও লিজ ট্রাস নিজে বলছেন যে, তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মিশন শেষ না করা পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। বরিস জনসনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে থেকে পদত্যাগ করতে না চান তাহলে তাকে ক্ষমতা থেকে নামানো সহজ বিষয় নয়। এর জন্য সরকার থেকে মন্ত্রীদের গণ পদত্যাগ করতে হয়। লিজ ট্রাসের মন্ত্রীরা এখনও বিদ্রোহ করেননি। অনেকেই তার পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom