দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমই মেরামত করতে হবে

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কতটি ইভিএম কার্যক্ষম ও কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে। কমিশন সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমই মেরামত করতে হবে
দেড় লাখের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমই মেরামত করতে হবে

প্রথম নিউজ, অনলাইন : ২০১৮ সালে কেনা দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। বুধবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসি সচিব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১ লাখ ১০ হাজার মেশিনকে মেরামত করতে হবে। এগুলো মেরামত করে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে ইসি। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কতটি ইভিএম কার্যক্ষম ও কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে। কমিশন সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। ইসি সচিব বলেন, কতগুলো ইভিএম ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারব তার ওপর নির্ভর করবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। আমাদের সক্ষমতা নিয়ে কমিশন সব সময় বলেছে, সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। এটার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে, এই সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসিনি। তিনি আরও জানান, যতদূর সম্ভব বেশিসংখ্যক আসনে ইভিএমে ভোট করা হবে।

নির্বাচনী এলাকার ভোটারসংখ্যা একেক জায়গায় একেক রকম। যদি ছোট এলাকা নেয়া যায়, তাহলে বেশি আসন নেয়া যাবে। বড় এলাকা হলে কম আসনে ইভিএম করতে হবে। এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন ধাপে পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মে থেকে জুনের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোট হবে। এ বিষয়ে ইসি সচিব জানান, পাঁচটি সিটি নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের আগে করতে হবে। এপ্রিলে পবিত্র রমজান শেষে এসএসসি পরীক্ষা ২৩ মে পর্যন্ত চলার কথা, জুনে কোরবানির ঈদ। ঈদুল আজহার আগে এবং এসএসসি পরীক্ষা শেষে এর মধ্যবর্তী সময়ে এ পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তফসিলের সময় কোনটা কোন তারিখে হবে, তা বিস্তারিত জানানো হবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন এই সচিব।

ওদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টিম পাঠিয়ে প্রবাসীদের ভোটার করতে পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, ভোটার হওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে এসে আবেদন করবেন। এরপর আবেদন দেশে স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই ও তদন্ত হবে। পরে দূতাবাসে এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও অন্যান্য তথ্য নেয়া হবে। দেশে নির্বাচন কমিশন স্মার্ট কার্ড তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠানো হবে। সেখান থেকে এনআইডি নিতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: