দেশে কোন আইনের শাসন নেই:খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক:দুর্বৃত্তদের সন্ত্রাসী হামলায় দুই হাতের কব্জি বিছিন্ন করা গুরুতর আহত যুবদল নেতা লিটন মন্ডলকে আজ শনিবার বিকালে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিতসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিতসা দিচ্ছেন। গত ১৩ জুলাই সংগঠনের লিফলেট বিতরণের সময়ে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা লিটনকে কুপিয়ে তার দুই হাতের কব্জি বিছিন্ন করে এবং দুইটি পা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলে। লিটন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পাগলাকানাই ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সদস্য।
আমীর খসরু হাসপাতালে লিটনের চিকিতসার খোঁজ খবর নেন এবং তার সঙ্গে কথা বলে কুশল বিনিময় করেন। তিনি লিটনকে বলেন, তুমি একা নও। তোমার সাথে বিএনপি, এদেশের মানুষ ও বিশ^বাসী রয়েছে। সকলের দোয়া আছে। তুমি আমাদের সাহস। মনোবল শক্ত রাখবে। স্ত্রী ও তার দুই সন্তানের সাথেও কথা তাদেরকে সাহস দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
পরে সাংবাদিকদের কাছে আমীর খসরু বলেন, দেশের অবস্থা কেমন এই লিটন মন্ডলের ওপর হামলার দৃশ্য দেখলে বুঝা যায়। দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার নেই। এই অস্বস্তিকর পরিবেশে আমরা দিনাতিপাত করছি।
এ সময় উপস্থিত দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সস্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুবৃর্ত্তরা লিটন মন্ডলকে কুপিয়ে তার দুই হাতের কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন ও দুই পা ভেঙে ফেলেছে। ঘটনার পরপরই রাতেই ঢাকায় এনে ১০ ঘন্টার টানা অস্ত্রোপচার করে বিশেষজ্ঞ চিকিতসকরা তার কেটে ফেলা দুই হাত ও ভেঙে ফেলা দুই পা অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন পর্যন্ত ৫টা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বিশেষ চিকিতসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিতসা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি তার চিকিতসা কার্যক্রমের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম হারুনুর রশিদ মোল্লা, মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ও যুবদল নেতা সোহেল খান প্রমুখ।