Ad0111

দেড়শো টাকায় নেমেছে ব্রয়লার মুরগি, চড়া সবজি

সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

দেড়শো টাকায় নেমেছে ব্রয়লার মুরগি, চড়া সবজি
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন দেড়শো টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম। সেইসঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম এক মাসের বেশি সময় ধরে কমছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশো টাকা হয়েছিল। এখন তা কমে দেড়শো টাকা হয়েছে। তবে আমাদের ধারণা আবার যেকোনো সময় দাম বেড়ে যেতে পারে।

রামপুরা বাজার থেকে মুরগি কেনা মো. মহাসিন বলেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি দেড়শো টাকা করে নিয়েছে। গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি কিনেছিলাম। সে হিসাবে কেজিতে দাম ১০ টাকা কমেছে। তবে আমাদের হিসেবে মুরগির দাম এখনো বেশি। মুরগির কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা থাকলে সেটাই স্বাভাবিক।

অন্যদিকে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পাকা টমেটোর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এর সঙ্গে বেড়েছে শিমের দাম। মানভেদে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৬০ টাকা। তবে আগের দামেই ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গাজর।

শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। শালগমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এ দুটি সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাকের আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজি ও শাকের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ফজলুল ব্যাপারী বলেন, কম দামে সবজি খাওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা কম। আমাদের ধারণা এখন দিন যত যাবে সবজির দাম বাড়বে।

খিলগাঁও থেকে সবজি কেনা ফাতেমা বেগম বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। চাল, তেল, চিনির দাম শুনলে মাথা গরম হয়ে যায়। মাসের পর মাস অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের পণ্য। কিন্তু দাম কমানোর কোনো পদক্ষেপ কেউ নিচ্ছে না। দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে দাম।

তিনি আরও বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম তাতে আমাদের মতো স্বল্পআয়ের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না। দেখেন এ শীতের মধ্যেও বাজারে সবধরনের সবজির দাম অস্বাভাবিক। বাজারে একশো টাকা নিয়ে গেলে দুই-তিনটির বেশি সবজি কেনা যায় না।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news