দুই সেশনেই ৮ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

 দুই সেশনেই ৮ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : শুরুতে ১৮ রান তুলতেই চলে গেছে ৪ উইকেট। এরপর মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেনের ব্যাটে কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩৩ রান যোগ করেন তারা। ফলে সম্মন রক্ষার পথেই হাঁটে বাংলাদেশ।

কিন্তু বিরতির পর ব্যাট করতে এসে হতাশ করলেন মুশফিক। প্রথম কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার অপরাধে ‘হ্যান্ডলড বল’ আউটের শিকার হয়ে মুশফিকের ফেরার পর তালগোল পাকিয়ে ফেললেন ব্যাটাররা। দ্রুত আরও ৩ উইকেট বিলিয়ে দিলেন ব্যাটাররা। ফিরলেন শাহাদাত হোসেন, নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। অর্থাৎ দ্বিতীয় সেশনে ৪০ তুলতে গেছে আরও ৮ উইকেট।

৫৮ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। ৪ রান নিয়ে খেলছেন নাঈম হাসান, অপরপ্রান্তে ৪ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে সবশেষ সেশন শুরু করবেন তাইজুল ইসলাম।

এর আগে মুশফিকের ফেরার পর তার সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়া শাহাদাত বেশিক্ষণ টিকলেন না। দলীয় স্কোরকার্ডে ১৯ রান যোগ করতেই ফিরলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নিজের নামের পাশে ৩১ রান লিখিয়ে গ্লেন ফিলিপসের বলে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ হন শাহাদাত।

এরপর মাঠে নেমে শুধু হতাশাই বাড়িয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান। ১৬ বলে ৭ রান করে ফিলিপসের বলে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

এর আগে ইনিংসের ৪১তম ওভারে কাইল জেমিসনকে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ঠেকিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে বল পিচে পড়ে উইকেটের পেছন দিকে যাচ্ছিল। মুশফিক ভেবেছেন, বলটি হয়তো স্টাম্পে আঘাত করতে পারে। যে কারণে তিনি হাত দিয়ে বলটি ঠেকিয়ে দেন। এতে কিউই ফিল্ডাররা আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন জানান।

ফলে রিভিউ দেখে টিভি আম্পায়ার মুশফিকককে ইতিহাসের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে ‘হ্যান্ডলড বল’ আউট ঘোষণা দেন। ফলে দেখেশুনে খেলে ৮৩ বলে ৩৫ রান করে ফিরলেন এই ডানহাতি। অপ্রত্যাশিত এই আউটে মুশফিক-শাহাদাতের করা ১৫১ বলে ৫৭ রানের জুটিটি ভেঙে যায়।

এর আগে ৪৭ রানে ছিল না ৪ উইকেট। তখন মনে হয়েছিল, নতুন কোনো হতাশার রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ। তবে সেটি হয়নি। চরম বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে কিছুটা স্বস্তিদায়ক অবস্থানের দিকে নিয়ে গিয়েছেন মুশফিকুর ও শাহাদাত।

এর আগে এটি যে টেস্ট ফরম্যাটের খেলা, তা যেন মাঝেমাঝে ভুলেই যান বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আরও একবার রয়ে-সয়ে, দেখেশুনে খেলার বদলে তড়িঘড়ি করে রান তুলতে গিয়ে দলের বিপদ ডেকে আনলেন ওপেনার জাকির হাসান। ২৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর যেন দিশা হারিয়ে ফেললেন পরবর্তী ব্যাটাররা।

এরপরের ১৮ রান তুলতেই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। বাজেভাবে আউট হয়ে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিনের শুরুতেই বাজে ক্যাচে সাজঘরে ফিরে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মুখে হাসি ফোটালেন জাকির। ২৪ বলে ৮ রান করে মিচেল স্যান্টনারকে আকাশে তুলে মিড-অন অঞ্চলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে সহজ হন তিনি।

জাকিরের দেখানো পথে হাঁটলেন আগের ম্যাচে ৮৬ করা ওপেনার জয়ও। অ্যাজাজ প্যাটেলের বল ঠেকাতে গিয়ে শর্টলেগে টম ল্যাথামের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৪০ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসের সেরা ব্যাটার।

জয়কে ফেরানোর পর ব্যাক টু ব্যাক বল করতে এসে মুমিনুলকেও সাজঘরের পথ দেখান প্যাটেল। এটি তার দ্বিতীয় শিকার। বাঁহাতি কিউই স্পিনারের করা বল মুমিনুলের ব্যাটে চুমু দিয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ হয়।

আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো অধিনায়ক শান্ত এই ম্যাচে দলের হাল ধরতে পারলেন না। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান স্যান্টনার। ১৪ বলে ৯ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।