জুনে ৭৬ নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার: মহিলা পরিষদ

জুনে ৭৬ নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার: মহিলা পরিষদ

প্রথম নিউজ, ঢাকা : চলতি জুন মাসে ১২৬ জন কন্যা এবং ১৭২ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদনে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

মহিলা পরিষদ জানায়, জুন মাসে মোট ২৯৮ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন; যার মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীদের মধ্যে ৯ জন কন্যা ও ১০ জন নারীসহ ১৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। একজন কন্যা ও একজন নারী ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। ৩৮ জন কন্যা ও ১৬ জন নারীসহ ৫৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং একজন কন্যা ও একজন নারী ধর্ষণের পর আত্মহত্যার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ১৪ জন কন্যাসহ ২১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশপাশি ৮ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন, এর মধ্যে ৫ জন কন্যা।

প্রতিবেদনে আরও জানান হয়, জুন মাসে যে ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তার মধ্যে ৮ জন কন্যা। এসিড দগ্ধের শিকার হয়েছেন তিন জন, তিন জনের অগ্নি দগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। ছয় জন কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছেন। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ১৩টি।

এতে বলা হয়, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪ জন, এর মধ্যে ৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২০ জন, এর মধ্যে দুই জন কন্যা। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন0 একজন, তিনি কন্যা। ১২ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন, এর মধ্যে ১১ জন কন্যা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একজন কন্যা উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। বিভিন্ন কারণে সাত জন কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সাত জন নারীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পাঁচ জন কন্যাসহ ১৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিন জন কন্যাসহ ১৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুই জন নারী আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন।

এর বাইরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন একজন কন্যা। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছেন একজন। ৪ জন কন্যাসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ৫ জন। বাল্যবিবাহ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে সাতটি। একজন কন্যার জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ৯ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।