খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী

এ বিষয়ে আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। দিয়েছেন বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের স্ক্রলে নাকি আসছে- খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পারমিশন দেয়া হচ্ছে।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়া ও মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। দিয়েছেন বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের স্ক্রলে নাকি আসছে- খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পারমিশন দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি পরিষ্কার বলতে চাই- আমি জানতে পেরেছি- বেগম খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনো আসে নাই। আমাদের মতামত দেয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে যে তথ্য দেয়া হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা ও অসত্য। তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন অভিমত দেয়া ছাড়াই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে ফাইলটি পাঠানো হয়েছে। যখন আমার কাছে ফাইলটি আসবে, যখন এটি আমি নিষ্পত্তি করবো তখন আপনারা অবশ্যই জানতে পারবেন।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা যেসব ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন সেগুলো মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে কোন আপত্তি নেই সেটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। এটা এখন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কতজনকে আনবে, কতজনকে আনবে না। আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোন আপত্তি করবে না। এদিকে গত ৬ই মার্চ পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। চলতি মাসের ২৪ তারিখ বর্তমান মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
এর আগে গত রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, পরিবারের আবেদন পেলে তারা তা বিবেচনা করবেন।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হচ্ছে খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর ছয় বার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২৪শে মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: