কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ১০ দিন পর ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
প্রথম নিউজ, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ১০ দিন পর শাহিনুল হক লিটন (৪৫) নামে এক ইজিবাইক চালকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালের দিকে মিরপুর উপজেলার বাইপাস সড়কের পাশে রোজ হলিডে পার্ক সংলগ্ন খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবার ও স্বজনরা লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। শাহিনুল হক লিটন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেটের এ ব্লকের মৃত ইজাবুল হকের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে বিকেল ৪টার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য বের হন শাহিনুল হক লিটন। এরপর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গত শনিবার (২৫ মে) কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী মনিরা হক। মঙ্গলবার সকালের দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মিরপুর থানা পুলিশ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করে তাকে শ্বাসরোধে বা বিষাক্ত কিছু খাওয়ানোর মাধ্যমে হত্যা করা হয়। তার ইজিবাইক ও হত্যারহস্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা বলেন, লিটন নিখোঁজের পর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে অজ্ঞাতপরিচয় লাশ উদ্ধারের খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমাদের লিটন। নিখোঁজের ১০ দিন পর তার গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাই করেছে সন্ত্রাসীরা। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের স্ত্রী মুনিরা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিখোঁজের ১০ দিন পর ইজিবাইক চালকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত ও আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন। ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।