কুষ্টিয়ার খাজানগরে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা! লম্পট সুবাহান পলাতক
এ ঘটনায় বুধবার (১২ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন এক শিশুর বাবা। দুই শিশুকে বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম নিউজ, হাসানুল কবির নাজির কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ‘মজা’ কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে দুই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক লম্পটের বিরুদ্ধে । তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই লম্পট সুবাহান (৪৮)। এ ঘটনায় বুধবার (১২ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন এক শিশুর বাবা। দুই শিশুকে বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এক শিশুর মা বলেন, ‘আমার স্বামী ও দেবর খাজানগরে অটো চাল মিলের শ্রমিক। দুপুরে তাদের খাবার দেওয়ার জন্য খাবার নিয়ে আমি রাইচ মিলে যাই। বাড়িতে আমার ৫ বছর বয়সী ও দেবরের ৩ বছর বয়সী শিশুকন্যা ছিল। এই সুযোগে তাদের মজা (মুদি দোজানের মিষ্টি) কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী জমির হোসেনের ছেলে সোবাহান হোসেন। নিজ ঘরে নিয়ে তাদের ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুরা চিৎকার করলে পরে তাদের হাতে ৫ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
‘বাড়িতে ফিরে এসে দেবরের মেয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনার কিছু বিবরণ দেয়। আমার মেয়ে পালিয়ে থাকে। তাকে খুঁজে বের করে আদর করে জিজ্ঞাসা করলে সোবহান কাকা তার সঙ্গে কী করেছে তা জানায়। বিষয়টি নিয়ে সোবাহানের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে মেয়েরা তলপেটের নিচে ব্যথা অনুভব করলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি।
শিশুর বাবা বলেন, ঘটনার সময় আমি মিলে ছিলাম। বাড়ি থেকে বিষয়টি জানালে আমি আমার ভাইয়ের মেয়েকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করি। সোবহানের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অঅভিযোগ দিয়েছি। এলাকাবাসী জানান, এই সুবাহানের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ নোংরামির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তাকে নিয়ে এলাকায় সালিশ বিচার করা হয়েছে তবুও সে নিজেকে সংশোধন করেনি। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করে আপডেট কুষ্টিয়া' কে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর দউই শিশু কন্যার চিকিৎসা দেয়ার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে আমি নিজে হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাদের খোঁজ খবর নেয় এবং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি শিশু দুজন অনেকটা সুস্থ আছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সুবাহান তাকে পুলিশ খুঁজছে । এ ঘটনার সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে দুই শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। রির্পোট পাওয়ার পর ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলা যাবে।কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, শিশুর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।