কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল এখন দালালের দখলে

হাসপাতালের চিকিৎসক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগমনের পূর্বেই হাজির হয় সংঘবদ্ধ দালাল চক্র

কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল এখন দালালের দখলে
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল এখন দালালের দখলে
প্রথম নিউজ, কুষ্টিয়া : হাসপাতালের চিকিৎসক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগমনের পূর্বেই হাজির হয় সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। দখলে নেয় টিকিট কাউন্টার থেকে জরুরি ও বহিঃবিভাগে নিয়োজিত চিকিৎসকের দরজা পর্যন্ত। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে আগত চিকিৎসা প্রত্যাশী সহজ সরল রোগীদের টিকিট কাটতে সহযোগিতা করার মাধ্যমে তাদের আস্থা অর্জন করে। এরপর তাঁদের নিকট হাসপাতালে চিকিৎসার বদনাম রটায়। তাঁদের বোঝায়, সদর হাসপাতালেরই ডাক্তার কোনো এক ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখে। সে ডাক্তারের খুব কাছের লোক। তার(দালাল) সাথে গেলে ডাক্তার সবার আগে খুব ভালো চিকিৎসা দিবে। এরকম আরও সব শ্রুতিমধুর কথা দিয়ে ভুলিয়ে নিয়ে যায় পেয়ারাতলাসহ বিভিন্ন ডায়াগ  শুরু হয় গলাকাটা টেস্ট বানিজ্য। কখনো কখনো হাত ভাঙা রোগীরও আল্ট্রাসনো করানো হয়।
সম্প্রতি দেখা যায়, হাসপাতালের ৭৫,৭৬ নং রুমের সামনে ৭/৮ জন দালাল রোগী নিয়ে কোনো এক চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছে। এসব দালালের কেউ কেউ ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। এরা প্রথমে টিকিট কেটে দিয়ে রোগীদের সহযোগিতা করে।এরপর ঐ টিকিট নিজের কব্জায় নিয়ে রোগীদের অপেক্ষা করতে বলেন। কাঙ্ক্ষিত সেই চিকিৎসক এসে হাসপাতালের ঐ টিকিট বাদ দিয়ে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দেয়। সেখানে প্রয়োজনীয়- অপ্রয়োজনীয় বেশকিছু টেস্ট লেখে দেয়া হয় । এরপর দালালেরা যার যার শিকারের রোগী নিয়ে চলে যায় ঐ চিকিৎসকের নির্ধারিত ডায়াগনস্টিকে। সেখানে চলে রমরমা টেস্ট বানিজ্য। রোগী ভাগিয়ে নিতে দালালরা সাধারণত হাসপাতালের পেছনের গেট বেশি ব্যবহার করে। এছাড়াও হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের প্রাচীরের তারকাঁটা ভেঙে রোগী ভাগানোর নিরাপদ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। 
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ৩ জন মহিলা দালাল ৭৫ নং কক্ষের সামনে অপেক্ষমান। যাদের হাতে ১৫/২০ টা করে সরকারি হাসপাতালের টিকিট। এরা ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার পাশেই একজন অসহায় রোগী মুখে হাত দিয়ে চিন্তামগ্ন!

নোংরামো রয়েছে যা তারা ম্যানেজ করতে পারে না। এ কারণে অন্য লোকদের ধমক দিতে শুরু করে।’