ইরানকে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম দিতে যাচ্ছে রাশিয়া: বৃটেনের অভিযোগ
ড্রোনের বিনিময়ে ইরানে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে যাচ্ছে মস্কো। এই চুক্তি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পশ্চিমাদের আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া ইরানকে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে। এমন অভিযোগ এনেছেন বৃটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ড্রোনের বিনিময়ে ইরানে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে যাচ্ছে মস্কো। এই চুক্তি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পশ্চিমাদের আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ। খবরে জানানো হয়, পার্লামেন্টে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওয়ালেস। তার দাবি, ইরান এখন রাশিয়ার প্রধান সামরিক সহযোগিতাকারী দেশ। তারা প্রায় ৩০০ কামিকাজি ড্রোন সরবরাহ করেছে রাশিয়ার কাছে। এর বিনিময়ে রাশিয়া এখন ইরানকে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এতে মধপ্রাচ্য এবং বিশ্বের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই এই চুক্তিটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে। আমি এইমাত্র সেটাই করলাম। তবে অভিযোগ করা ছাড়া এই চুক্তির বিস্তারিত কিছু তুলে ধরেননি ওয়ালেস। রাশিয়া ঠিক কোন ধরণের অস্ত্র ইরানকে সরবরাহ করবে তাও জানাননি তিনি। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও রাশিয়া কিংবা ইরান কোনো মন্তব্য করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তর এবং ইরানের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। তবে তাদের তরফ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করলে বৃটেনসহ দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনের পাশে দাড়ায়। প্রতি মাসেই ইউক্রেনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। পশ্চিমাদের সহায়তায় ইউক্রেন দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। রাশিয়ার হাত থেকে অনেক এলাকা পুনরায় দখলে নিতে সক্ষম হয় তারা। অপরদিকে সামরিক পরাশক্তি রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য অন্য দেশের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে না। যদিও অভিযোগ রয়েছে, ইরানের থেকে কামিকাজি ড্রোনের বিশাল সরবরাহ পাচ্ছে দেশটি। তবে তেহরান ও মস্কো উভয়ই এমন দাবি অস্বীকার করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইরানকে অবশ্যই রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করতে হবে। ইরান এর আগে রাশিয়ার কাছে ড্রোন পাঠানোর কথা জানিয়েছে। তবে সেটা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার আগে। ধারণা করা হচ্ছে, মূলত ইরানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়া এখন নিজেই এসব ড্রোন তৈরি করছে। এসব ড্রোন ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাত্র কয়েক হাজার ডলার মূল্যের এসব ড্রোনের কার্যকরিতা বিশ্বকে অবাক করেছে। এগুলো ইরানের শাহেদ-১৩৬ মডেলের ড্রোন বলে ইউক্রেন বারবার অভিযোগ করে আসছে। যদিও ইরান ইউক্রেনকে কারিগরি প্রমাণ দিতে বললে তারা ব্যর্থ হয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews