ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সায়
প্রথম নিউজ,অনলাইন: ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন শক্তিশালীকরণে ই-সিগারেটসহ এ ধরনের সব পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের (এনসিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে ই-সিগারেটের বাজার নিয়ন্ত্রণের আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাবনার পাশাপাশি এর সম্প্রসারণ সহায়ক সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়- উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের জন্য ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার অন্যতম প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ঝুঁকি নিরসনে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিকোটিন একটি উচ্চমাত্রার আসক্তিকর কেমিক্যাল, এর ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়- এর ফলে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। গর্ভবতী নারী ও শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে নিকোটিনের ব্যবহার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। ই-সিগারেটে ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলো খাদ্যমান সম্পন্ন হলেও দীর্ঘমেয়াদে শ্বাসতন্ত্রে ঝুঁকির আশঙ্কায় জনস্বাস্থ্যের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। এছাড়াও ই-সিগারেটে ব্যবহৃত তরল বাষ্পীভূত করার ফলে ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়, যা ক্যান্সারের কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, ই-সিগারেটের বাষ্পে সিসা, নিকেল, ক্রোমিয়ামসহ অন্যান্য ভারি ধাতুর উপস্থিতিও প্রমাণিত হয়েছে; যা ক্যান্সারসহ নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews