আমিই কাঞ্চনের জীবনের ‘পার্মানেন্ট ভ্যালেন্টাইন’: শ্রীময়ী

আমিই কাঞ্চনের জীবনের ‘পার্মানেন্ট ভ্যালেন্টাইন’: শ্রীময়ী

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  এক বছরে অনেক বদলে গেছেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। এই এক বছরে তিনি আরও সংসারী ও আরও পরিপূর্ণ হয়েছেন। কেবল একটাই আফসোস তার। তবে সেটি কী অভিনেত্রী নিজেই তা জানিয়েছেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজের একটি বিশেষ দিন। এদিন তারা আইনি বিয়ে সেরেছিলেন। শনিবার তারই আয়োজনে উদ্যাপনে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চনের স্কুলের পুরোনো বন্ধুরা। গতকাল রোববারই সেই ছবি বদলে গেছে। 

কাঞ্চন-শ্রীময়ী ব্যস্ত তাদের মেয়ে কৃষভিকে নিয়ে। এদিন একরত্তির টিকা নেওয়ার দিন। কাঞ্চনপত্নীর বলেন, এত লক্ষ্মী মেয়ে, একটুও কাঁদে না! মেয়েকে সামলাতে সামলাতেই একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ফিরে দেখলেন তাদের এক বছরের দাম্পত্য। স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে একরাশ তৃপ্তি ঝরে পড়ল তার কণ্ঠে। 

শ্রীময়ী বলেন, খানাপিনা থেকে নাচগান— কিচ্ছু বাদ রাখিনি। সব আয়োজন করেছে কাঞ্চন আর তার স্কুলের বন্ধুরা। সত্যিই আমরা খুবই ভালো আছি।

এক বছরের বিবাহবার্ষিকীতে সাধারণত নতুন দাম্পত্যের সুখে বুঁদ হয়ে থাকেন নবদম্পতি। অনেকেই দ্রুত মা হওয়ার কথা সাধারণত ভাবেন না। শ্রীময়ী যদিও সেই পথে হাঁটেননি। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই কাঞ্চনপত্নীর তড়িঘড়ি উত্তর—বিয়ের বছর ঘুরতেই মা হয়েছি। কোনো আফসোস নেই। আফসোস আমার অন্য বিষয়ে। 

সে কথাও গোপন রাখেননি তিনি। অভিনেত্রী বলেন, কাঞ্চন তো সময় দিতেই চেয়েছিল। আমিই বরং মা হতে চেয়েছি। আইনি বিয়ে যেদিন সম্পন্ন হয়েছে, সেদিনই ওকে বলেছিলাম— অনেক দিন আমার পরস্পরের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকেছি। নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছি। আর না— এবার আমাদের জীবনে সন্তান আগমনের প্রয়োজন। তবে আমরা পরিপূর্ণ হব।