হত্যা-ডাকাতির আসামিকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার
গত সেপ্টেম্বর মাসে ফেনসিডিলসহ আটকের মাত্র ১৫ দিনে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে হয়ে যান জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক।

প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা, ডাকাতি, সিএনজিতে চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসার অভিযোগে অভিযুক্ত আরব আলী (৩৬)-কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়ান্দা (ডিবি) শাখার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে থানায় রয়েছে প্রায় একডজন মামলা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ফেনসিডিলসহ আটকের মাত্র ১৫ দিনে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে হয়ে যান জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক।
সেই আরব আলী এবার গোয়েন্দার জালে ধরা পড়লেন একশো পিস ইয়াবা নিয়ে। আরব আলী জেলার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে খাঁটিহাতা মোড় থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরব আলীকে তল্লাশি করে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। তল্লাশিকালে আরব আলীর মোটরসাইকেলের সিটের নিচে লুকানো অবস্থায় একশো পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় আরব আলীকে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরব আলী একজন চিহ্নিত অপরাধী। তিনি প্রথমে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে পলিথিন বিক্রি করতেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে টেম্পু চালাতেন। এরই মাঝে তিনি ডাকাত চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলাও রয়েছে। রাতারাতি হয়ে যান সিএনজি শ্রমিক নেতা। সিএনজিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে এবং তার ভাইকে গ্রেফতারও করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
এরপর তিনি বিশ্বরোড মোড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালামালের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবারের সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। আরব আলীর নামে হত্যা, ডাকাতি, সিএনজিতে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মামলা চলমান রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মামলায় তিনি চার্জশিটভুক্ত আসামি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তার দোকান থেকে ৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এ সময় তার আরও দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর জেল থেকে মাত্র ১৫ দিনেই জামিনে মুক্তি পান আরব আলী। এরপর গত ২২ অক্টোবর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কমিটি অনুমোদন হয়। সেই কমিটিতে সহ-প্রচার সম্পাদকের পদ পেয়ে যান এই আরব আলী। জেল থেকে বের হয়ে একজন চিহ্নিত অপরাধীর শ্রমিক নেতা বনে যাওয়ার সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল একটি অনলাইন পত্রিকাতে।