স্বাস্থ্যের ড্রাইভার মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
প্রথম নিউজ, ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় দুই ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এই সাজা একই সঙ্গে ভোগ করায় ১৫ বছর কারাভোগ করতে হবে তাকে।
আজ সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
চলতি বছর ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ড্রাইভার মালেককে একমাত্র আসামি করে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। পরে গেল ১১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচারের জন্য আদেশ দেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে গেলে ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় শেষ করেন। মামলাটির ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এর আদালতে পরবর্তী বিচার কাজের জন্য বদলির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত।
র্যাবের ভাষ্য, তিনি পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন ড্রাইভার এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।