স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

প্রথম নিউজ, ঢাকা : প্রায় এক যুগ আগে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা  মামলায় স্বামীকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভিক্টিম চন্দনা রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

আসামি সাজুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য আসা ডেথ রেফারেন্স ও আপিল খারিজ এবং দণ্ড পরিমার্জন করে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নারগিস আক্তার।  

এর আগে ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল চন্দনার সঙ্গে আসামি সাজুর বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় একই বছরের ২ আগস্ট সাজুকে তালাক দেন চন্দনা। কিন্তু পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর চন্দনা ও সাজুর পুনরায় বিয়ে  হয়।

২০১২ সালে চন্দনা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে অনার্স তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। তিনি কলেজের ছাত্রী নিবাসে থাকতেন। আসামি সাজু পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকায় আসে এবং ২০১২ সালের ১ মে তারিখে আদাবর থানার শেখেরটেক রোডে একটি বাসা সাবলেট নেয়। এরপর ১৪ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ঝগড়া হয় এবং এরই একপর্যায়ে আসামি সাজু ঘরে থাকা কাঁচি (সিজার) দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চন্দনাকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর সাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী আসামি রাজুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।

পরে বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এছাড়া আসামি সাজু রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।