শরণার্থীদের ইউরোপে পৌঁছাতে সাহায্য করছে বেলারুশ
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জমায়েত প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেছেন, বেলারুশ সৈন্যরা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে প্রবেশে সাহায্য করছে, যেটি করা সম্ভব। তবে অভিবাসন সংকট তৈরির যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। খবর আল-জাজিরার।
ইইউভূক্ত দেশগুলোর সরকার বলছে, বেলারুশ কৃত্রিমভাবে এ সংকট তৈরি করেছে। তারা লোকজনকে নিজ দেশে এনে সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছে এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে খুব সহজে সীমান্ত অতিক্রম করে দেওয়ার জন্য। বেলারুশ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে এবং ইইউ'র সীমান্ত বন্ধ রাখার ঘটনার তীব্র সমালোচনাও করছে।
পোল্যান্ডে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের ঢুকতে সাহায্য করছে বেলারুশ, এমন প্রশ্নের জবাবে লুকাশেঙ্কো বলেন, আমি মনে করি, এটি অবশ্যই সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের মানবিকতা রয়েছে। আমাদের সৈন্যরা জানেন তারা জার্মানি যেতে চায়। কেউ কেউ হয়তো তাদের সাহায্য করছেন। বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমি তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি।
পোলিশ সীমান্ত বাহিনী স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) জানায়, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দুটি গ্রুপ পূর্ব সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় তারা সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে। এতে তাদের সহায়তা করে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে ৪৫ জনকে আটক করা হয়।
পোল্যান্ড সীমান্ত সংলগ্ন ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রতিবেদনের তথ্য ভেরিফাই করার সুযোগ পাচ্ছেন না গণমাধ্যমকর্মীরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অস্থায়ী শিবির থেকে ফিরিয়ে নিয়ে ওয়্যারহাউজে জায়গা দিচ্ছে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ, সেটিও সীমান্ত থেকে বেশি দূরে নয়।
এদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ পর্যন্ত পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে জটিলতার কারণে ১১ জন শরণার্থী নিহত হয়েছেন।
পোল্যান্ড, লিথুনিয়া ও লাটভিয়া বলছে, গত কয়েক মাসে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী তাদের দেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী আসছে মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া থেকে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: