বিমানবালাকে হত্যাকারী সেই ঝাড়ুদারের মরদেহ মিলল থানার টয়লেটে
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ভারতীয় এক বিমানবালাকে গলাকেটে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া সেই ঝাড়ুদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ের একটি পুলিশ স্টেশনের টয়লেট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৫ বছর বয়সী এয়ার হোস্টেস রুপাল ওগ্রেকে হত্যার অভিযোগে দিন দু’য়েক আগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ভারতীয় বিমানবালা রুপাল ওগ্রেকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিক্রম আটওয়ালকে শুক্রবার ভোরে মুম্বাই পুলিশের হেফাজতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ৪০ বছর বয়সী আটওয়ালকে মুম্বাইয়ের আন্ধেরি থানার টয়লেটের ভেতরে প্যান্টের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিক্রম আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর আগে আন্ধেরির শহরতলির মারোল এলাকায় একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে গত রোববার গভীর রাতে 25 বছর বয়সী রুপাল ওগ্রেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি ছত্তিশগড় রাজ্যের বাসিন্দা এবং ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিমান সংস্থায় প্রশিক্ষণের জন্য চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মুম্বাই এসেছিলেন।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী যে আবাসিক সোসাইটিতে থাকতেন সেখানে গত এক বছর ধরে গৃহস্থালির কাজ করতেন বিক্রম আটওয়াল। রোববারের এই হত্যাকাণ্ডের পর সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে স্থানীয় আদালত তাকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল।
বিক্রম আটওয়াল বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে- ঘটনার দিন আটওয়াল আবর্জনার ব্যাগ সংগ্রহ করা এবং কমোড পরিষ্কার করার অজুহাতে রুপাল ওগ্রের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছিল এবং একপর্যায়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করে।
ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার ঊদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল দিন দু’য়েক আগে জানায়, ‘বিমানবালা রুপাল ওগ্রেকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ধারালো বস্তু নিয়ে ওই নারীর ফ্ল্যাটে যায় বিক্রম। ভিকটিমকে ধর্ষণের জন্য সে প্রথমে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়, কিন্তু ওই নারী নিজেকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করায় ব্যর্থ হয় সে। নিজেকে বাঁচাতে ওই নারী অভিযুক্তকে ধাক্কা দেয়, হাত দিয়ে আঘাত করে এবং লাথিও মারে। অভিযুক্তের সারা শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে, এতে সেখানে ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়।’
ওই কর্মকর্তা সেসময় আরও জানান, ‘একপর্যায়ে ওই নারী ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা দিয়ে বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে অভিযুক্ত বিক্রম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভুক্তভোগীকে গলাকেটে হত্যা করেন।’