দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ
জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই জবুথুবু হয়ে কর্মে বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
প্রথম নিউজ, চুয়াডাঙ্গা: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁয়। তীব্র হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই দুই জেলার মানুষের জীবনযাত্রা। জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই জবুথুবু হয়ে কর্মে বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া নওগাঁর বদলগাছিতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা যৌথভাবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র শীতে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আকছেদ আলী নামে ভ্যানচালক বলেন, ভোরে কুয়াশা না থাকলেও হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়ছি। হাত-পা যেন নড়ছেই না। মনে হচ্ছে অবশ হয়ে যাচ্ছে।চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক জানান, বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, গত কয়েক দিন যাবত নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বর্তমানে প্রতিদিন সকাল ৬টা ও ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও দুপুর ৩টা ও সন্ধা ৬টায় সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।