দেনার দায়: স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহনন করলেন বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার

বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। 

দেনার দায়: স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহনন করলেন বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তার স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে হত্যা করে তারপর নিজের জীবন শেষ করলেন। ঘটনাটি রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছে। বীরার্জুন বিজয়, নামের ৩১ বছর বয়সী এই ইঞ্জিনিয়ার, কাদুগোদি থানার সিগেহাল্লিতে অবস্থিত তার অ্যাপার্টমেন্টে স্ত্রী হেমাবতী (২৯) এবং তাদের দুই মেয়ে- দেড় বছর বয়সী মোক্ষ মেঘা নয়না এবং ৮ মাস বয়সী সুনয়নাকে হত্যা করেন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। 

তদন্তে জানা গেছে যে বীরার্জুন তার স্ত্রী ও সন্তানদের মৃতদেহের সাথে তিন দিন কাটান এবং পরে আত্মহত্যা করেন। কারিগরি টিম লিড হিসাবে কুন্ডলাহল্লিতে অবস্থিত একটি সফ্টওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করতেন বীরার্জুন। কয়েক বছর আগে শেয়ার ব্যবসায় নেমে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েন তিনি।তিনি ঋণ নিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করতেন। এভাবেই ক্রমে  ঋণের ফাঁদে পড়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে যান এই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার ল্যাপটপ ও মোবাইল ঘেঁটে  পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরেছে।

 ঘটনাটি পরিবারের কাউকে জানাননি বীরার্জুন। হেমাবতী, যিনি জানতেন যে তিনি শেয়ার ব্যবসা করেন, তিনি সবসময় তাকে শেয়ারে বিনিয়োগ না করতে বলেন। কেবল হেমাবতী বিষয়টি জানতেন। তিনি সবসময় তাকে শেয়ারে বিনিয়োগ  করতে বারণ করতেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও হতো। পারিবারিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির চাপ নিতে না পেরে বীরার্জুন তার স্ত্রী, সন্তানদের হত্যা করে তার জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন।এফএসএল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে হেমাবতীই প্রথম মারা যান।

পুলিশ জানায়, ৩১ জুলাই বীরার্জুন তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরের দিন সে তার দুই মেয়েকে তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তাদের হত্যা করার পর, বীরার্জুন মৃতদের  সাথে তিন দিন কাটিয়েছিলেন এবং ২ আগস্ট সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহনন করেন তিনি । শোবার  ঘরের  মেঝেতে হেমাবতী ও শিশুদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহত দম্পতির মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পুলিশ।