থমথমে চট্টগ্রামের হাজারিগলি, নিরাপত্তা জোরদার

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গলিতে ঢোকার ফটকের সামনে ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন।

থমথমে চট্টগ্রামের হাজারিগলি, নিরাপত্তা জোরদার

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ধর্মীয় সংগঠন ‘ইসকন’ সম্পর্কে এক ব্যবসায়ীর ফেসবুক স্টাটাস শেয়ার করা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম নগরীর হাজারিগলিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানকার সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। হাজারিগলিতে ঢোকার প্রধান ফটক বন্ধ রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গলিতে ঢোকার ফটকের সামনে ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন। মানুষের আনাগোনা দেখা গেলেও ওষুধের দোকান খোলা না থাকায় অনেক ক্রেতা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। হাজারিগলির অলিগলিতে বিচ্ছিন্নভাবে জটলা দেখা যাচ্ছে। তবে সবার মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।

কিছু ব্যবসায়ী জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের জেরে গতকাল গভীর রাতে অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাজারিগলির বেশ কিছু দোকানপাট সিলগালা করে দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার এক ব্যবসায়ী তার ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যৌথবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় যৌথবাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে এসিড ছুঁড়ে মারে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, হাজারিগলিতে মো. ওসমান নামে এক দোকানি কিছুদিন আগে তার ফেসবুকে হিন্দুদের সংগঠন ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোকজন মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তার দোকানে গিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। ওই সময় তারা বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। ওসমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। এসময় তারা ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরে ওসমানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে আবার ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে তারা এসিডও নিক্ষেপ করে। এতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এর মধ্যে একজন সামান্য এসিড দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।