জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে : চরমোনাই পীর

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের লালদিঘি এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে : চরমোনাই পীর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর চরমোনাই)। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোনো বিচার হয় না।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের লালদিঘি এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ, নির্বাচন কমিশন বাতিল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, পুলিশের সদ্য অব্যাহতি দেওয়া এডিসি হারুনের হাতে বাংলাদেশের কত মানুষ মার খেয়েছে। তার ব্যাপারে তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু ‘সোনার ছেলেদের’ মারার কারণে পদ থেকে সরে যেতে হলো। এ কি ন্যায়বিচার? এটা হলো সম্পূর্ণ দলীয়করণের বিচার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকাররে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার। তাদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশিরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভূলুণ্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেওয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

পীর চরমোনাই বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশাহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।

লালদিঘির সমাবেশ থেকে র্দীঘদিন ধরে কারাবন্দি সব আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি জানানো হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলি আকনসহ কেন্দ্রেীয় নেতারা।