শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনব- হানিফ
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি যড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, যারা যড়যন্ত্র করছে তাদের বলব- এই সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে পতন ঘটানো যাবে না। বিদেশি যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবতার কথা বলে তারা এই ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে থাকবে না।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের এখন আর হাসি-খুশি মুখ নেই। স্যাংশন-ভিসানীতি করে ভেবেছিল তারা ক্ষমতায় এসে গেছেন। কিন্তু এখন মুখ শুকিয়ে গেছে।
অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমানের সাজার বিষয়ে যড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, হেফাজতের মহাসমাবেশ ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অধিকার বলেছিল। সেই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এজন্য মির্জা ফখরুলের দুঃখ কীসের। এই স্বাধীনতাবিরোধীরা এক হয়ে সরকার পতন ঘটাতে চায়। বিদেশি বন্ধুদের বলব, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, বিএনপি-জামায়াত কর্মসূচি দিলে আমরা রাজপথে থেকে তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব।
বিএনপি ভেবেছিল হেফাজতের সমাবেশ যোগ দিয়ে সরকার পতন করবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, হেফাজতের আন্দোলনের ওপর ভর করে সেসময় বিএনপি ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল। খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন হেফাজতের আন্দোলনে সরকার নেমে যাবে। ২০০ গরু খাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ সময় হানিফ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, শহিদুল আলম একাত্তরের পরাজিত শক্তির বংশধর। তিনি রাজাকার সবুর খানের ভাগ্নে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।