খালেদা জিয়ার কিছু হলে দেশে আগুন জ্বলবে : টুকু
গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে টুকু এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কিছু হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। অবিলম্বে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু সরকার নানা তালবাহানায় তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে। গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে টুকু এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে এই কৃষক সমাবেশ হয়। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আজকের এই কৃষক সমাবেশ প্রমাণ করে- বাংলাদেশের মানুষ একটি জিনিসই চায়, সেটা হচ্ছে- এই সরকারের পতন। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আজ সমগ্র মানুষ রাস্তায় নেমেছে। সুতরাং সরকারের পতন অনিবার্য।
সরকারকে অবিলম্বে একদফা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একদফা মেনে নিন। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আপনাদের দাবি মানতে বাধ্য করবে। যুবদল সভাপতি দাবি করে বলেন, একদফার আন্দোলনে আমরা সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকারের পতন ঘটাব।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কৃষক দলের নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, এসএম ফয়সাল, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, আনম খলিলুর রহমান, আসলাম মিয়া, সৈয়দ অলিউল্লাহ সিদ্দিকী, মোশাররফ হোসেন, মিজানুর রহমান লিটু, ওবায়দুল রহমান টিপু, ফজলে হুদা বাবুল, শাহ আবদুল্লাহ বাকী, শাহ মো. মুনিরুর রহমান, মাহমুদা হাবিবা, দীপু হায়দার খান, ইউনুস আলী মোল্লা, সাহাদাত হোসেন বিপ্লব, আশরাফুল আরিফ ডন, কাজী হোসেন, শফিকুর রহমান মিঠু, মীর হাসান কামাল তাপস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সমাবেশে থাকলেও বক্তব্য দেননি।