ওয়েট স্কেল এড়িয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল, সড়কের বেহাল দশা

সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই ভাঙা এ সড়কে মালবাহী ট্রাক আটকে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। তখন দুর্ভোগে পড়ে এ সড়কে চলাচল করা পথচারী ও যাত্রীরা।

ওয়েট স্কেল এড়িয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল, সড়কের বেহাল দশা

প্রথম নিউজ,পটুয়াখালী: পায়রা সেতুর ওয়েট স্কেল এড়িয়ে গভীর রাতে পটুয়াখালী শহর থেকে মির্জাগজ্ঞ উপজেলার প্রধান সড়কটি দিয়ে চলাচল করে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন। এতে সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই ভাঙা এ সড়কে মালবাহী ট্রাক আটকে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। তখন দুর্ভোগে পড়ে এ সড়কে চলাচল করা পথচারী ও যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী মহা সড়কের বাকেরগঞ্জ এলাকা থেকে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা হয়ে বরগুনায় যাতায়াতের জন্য একটি সড়ক রয়েছে। এই সড়কটি ব্যবহার করলে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা-লেবুখালী সেতু পাড় হতে হয় না। পাশাপাশি মির্জাগঞ্জ উপজেলা থেকে পায়রা নদীর পায়রাকুঞ্জ-মনোহরখালী এলাকা দিয়ে ফেরি পাড় হয়ে পটুয়াখালী শহরে প্রবেশ করা যায়। এ কারণে পায়রা লেবুখালী সেতুর ওয়েট স্কেল এড়িয়ে বাকেরগঞ্জ-মির্জাগঞ্জ-পটুয়াখালীর এই সড়কটি ব্যবহার হচ্ছে।

এদিকে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এত চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও এর কোনো প্রতিকার মিলছে না।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বরকর সিদ্দিকী বলেন, ‘সড়কটি গত বছরও সংস্কার করা হয়েছে। এরপরও ভারী যানবাহন চলাচল করায় এ বছর আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলা শহরের যাতায়াতের প্রধান সড়কটিতে এমন ভোগান্তি আমাদের ব্যথিত করে। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই। ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। রাতের আধারে এসব যানবাহন চলাচল করছে। তবে সড়ক বিভাগ সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এ বিষয়ে একটু নজর দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কাজের তদারকি ও মান রক্ষা করার অনুরোধ করছি।’

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের টিআই (এডমিন) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন কাজল বলেন, ‘প্রতিটি যানবাহন কি পরিমাণ পণ্য পরিবহন করতে পারবে তার যানবাহনের চাকার ওপর নির্ভর করে। একটা গাড়ির একটা এক্সেলের জন্য ১০ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করতে পারবে। তবে ফিডার রোডগুলোতে হাই লোডেড গাড়িগুলো চলাচল করার কথা নয়। এরপরও গভীর রাতে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। দিনের বেলায় এবং রাত ১১টা পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি নজরদারি করে। কোনো অবস্থাতেই এই সড়ক দিয়ে যাতে অধিক লোডের গাড়ী চলাচল করতে না পারে সেজন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, ‘সড়কটি চলাচলের উপযোগী রাখতে এরই মধ্যে বিভাগীয়ভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো সড়কটি সংস্কারে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। রাতে এই সড়কটি দিয়ে অধিক লোডের যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি কিভাবে যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করা যায়।’