উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছুটিতে, ফায়ার সেফটি নিয়ে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছুটিতে, ফায়ার সেফটি নিয়ে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ

প্রথম নিউজ, অনলাইন : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা গেছে। হাসপাতালের আগুন নির্বাপক যন্ত্রগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে প্রায় তিন বছর আগে। তারপরও এগুলো দিয়েই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিনভর সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুরো হাসপাতালজুড়ে রয়েছে মাত্র দুটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার। অথচ ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১০টি আগুন নির্বাপক যন্ত্র থাকা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি, নিয়মিত অগ্নি মহড়া আয়োজনেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানছে না।
হাসপাতালের ব্যবহৃত ফায়ার এক্সটিংগুইশারগুলোর গায়ে উল্লেখ রয়েছে, ১১ এপ্রিল ২০২১ সালে মেয়াদ শুরু হয়ে ১০ এপ্রিল ২০২২ সালে মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেই থেকে দীর্ঘদিন ধরে নতুন যন্ত্র না বসিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্র দিয়েই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
রায়পুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রেকর্ড ঘেঁটেও হাসপাতালের শেষ অগ্নি মহড়ার কোনো তথ্য মেলেনি। ফলে যে কোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম ছুটিতে থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে রায়পুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালের পরিস্থিতি যাচাই করবো। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। হাসপাতাল এখন অগ্নিকাণ্ডের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে কোনো মহড়ার আবেদন করেনি। তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটিতে অগ্নি মহড়ার আয়োজন করবো।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে এভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অবহেলা করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তারা অবিলম্বে হাসপাতালের ফায়ার নিরাপত্তা জোরদার এবং পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।