আপিলেও বেকসুর খালাস বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন, দেশে ফিরতে চান

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই। ভারতের আসামের এক আদালতের আপিল বিভাগ গতকাল (মঙ্গলবার) এক রায়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

আপিলেও বেকসুর খালাস বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন, দেশে ফিরতে চান

প্রথম নিউজ, অনলাইন:অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই। ভারতের আসামের এক আদালতের আপিল বিভাগ গতকাল (মঙ্গলবার) এক রায়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতের শিলং থেকে বলেন, আগেই আদালত আমাকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। পরে এদেশের সরকার তার বিরুদ্ধে আপিল করে। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়েও আমাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  বাংলাদেশে ফেরার বিষয়ে ভারত সরকারকে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি দেশে ফিরতে চাই। আমি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। ভারত সরকার আমাকে যখনই দেশে পাঠিয়ে দেবে বা ব্যবস্থা নেবে  তখনই আমি দেশে ফিরব।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। সেই অবস্থায়ই বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: