অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে যাদের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে যাদের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে পেল বাংলাদেশ। আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে বিশ্বকাপ। ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ৪১টি। ১৬টি দলকে ভাগ করা হয়েছে ৪টি গ্রুপে।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করেছে। 

বাংলাদেশের মেয়েরা আছেন ‘ডি’ গ্রুপে। এই গ্রুপে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড ও গ্রুপের আরেকটি দল, তারা এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে উঠে আসবে। 
মালয়েশিয়ার সেলানগর, জোহর ও সারাওয়াক শহরের ৪টি স্টেডিয়ামে হবে ৪১ ম্যাচ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সব কটি ম্যাচ হবে সেলানগরের ইউকেএম ওয়াইএসডি ক্রিকেট ওভাল স্টেডিয়ামে।

১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দল। ২০ জানুয়ারি পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। আর ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের দল। 

টালমাটাল এক সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তরুণ ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন তিনি। এরই মধ্যে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন এই উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সহ বেশিরভাগ ফেডারেশনের নেতৃস্থানীয় পদে এতদিন জেঁকে বসেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সরকার পতনের পর থেকে এই নেতাদের অনেকেই লাপাত্তা। তাদের করাল গ্রাস থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে মুক্ত করে অরাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করার চ্যালেঞ্জ এখন উপদেষ্টার সামনে।

একইসঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করাও বড় এক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে আসিফ মাহমুদের জন্য। রোববার (১৮ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠলে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এরই মধ্যে ক্রীড়াক্ষেত্রে যে দুর্নীতি ও অন্যায়ের অভিযোগগুলো রয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনারা সেগুলো খুঁজে বের করে মিডিয়ায় প্রকাশ করছেন। আপনাদেরও ধন্যবাদ জানাই। এ বিষয়গুলোতে আমরা তদন্ত করব এবং যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আমি এরই মধ্যে বিসিবির সংশ্লিষ্ট এবং ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

দেশের প্রতিটি ক্রীড়া ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র গণতান্ত্রিক করার ওপর জোর দিয়ে আসিফ মাহমুদ যোগ করেন, ‘আমাদের প্রত্যেক ফেডারেশনের যে গঠনতন্ত্র আছে, সেগুলো (গঠনতন্ত্র) যেন গণতান্ত্রিক হয়, একনায়কতন্ত্র চর্চার সুযোগ না থাকে, সেগুলোও প্রভাবমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

খেলাধুলাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা একটা সার্চ কমিটি গঠন করে দেব, যারা প্রতিটি ফেডারেশনের বর্তমান অবস্থা দেখবে। যারা কাজ করছেন, যারা দায়িত্বশীল আছেন, তারা আছেন কি না (দায়িত্বে) এবং তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী, কিসের ওপর ভিত্তি করে সেখানে আছেন, সেগুলো নিয়ে তারা (সার্চ কমিটি) প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। যে খেলার সঙ্গে যিনি সংযুক্ত এবং কাজ করে আসছেন, তাদের দিয়েই ফেডারেশনগুলো ঢেলে সাজাব। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সর্বোচ্চ কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।’