সোনাগাজীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে মারধর
শিক্ষিকার স্বামী মো. মোর্তজা বিষয়টি বারবার জসিম উদ্দিনকে জানালেও তিনি ছেলের বিচার করেননি।
প্রথম নিউজ, ফেনী: সোনাগাজীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা ও তার স্বামী মো. মোর্তজা স্বপন (৪৭) ও ছেলে ওমর মোর্তজা (১১)কে মারধর, গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বিকালে সোনাগাজী প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ ও মৌখিক বক্তব্যে শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা জানান, সোনাগাজী উপজেলার সরকারি আবাসিক কোয়ার্টারে বসবাসকারী (উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ির চালক) জসিম উদ্দিন প্রকাশ বাঘা জসিমের ছেলে শাহাদাত হোসেন ইমরুল (১৮) দীর্ঘদিন ধরে মেয়ে ও তার নিকট প্রাইভেট পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করে আসছে।
শিক্ষিকার স্বামী মো. মোর্তজা বিষয়টি বারবার জসিম উদ্দিনকে জানালেও তিনি ছেলের বিচার করেননি। গত শনিবার রাত ১০টায় বাদী কাউন্সিলর তাসলিমা আক্তারের বাসা থেকে ফেরার পথে ইমরুল অনুরূপ অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকলে শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানান, এতে জসিম উদ্দিন, ইমরুল ও আবদুল হালিমসহ অপরাপর লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষিকার পথরোধ করে মারধর করে। শিক্ষিকার চিৎকারে তার স্বামী ও সন্তান ছুটে আসলে জসিমউদদীনসহ তার সঙ্গীয় লোকজন তাদেরকে বেদম মারধর করে জখম করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়াসহ বেশি বাড়াবাড়ি করলে খুন-জখম করবে বলে হুমকি-ধমকি প্রদান করে।
এই ঘটনায় শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান ও প্রতিকার পেতে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়রসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবহিত করেন। সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণার অভিযোগটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করেছি। সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খালেদ হোসেন বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: