সাঈদের পরিবারকে বেরোবি প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা প্রদান

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত আবু সাঈদের বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

সাঈদের পরিবারকে বেরোবি প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা প্রদান

প্রথম নিউজ, অনলােইন ডেস্ক: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত আবু সাঈদের বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল। এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। সে সময় ভিসি আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমাদের খোঁজখবর নেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাবো না। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারবো শেষ সময়ে। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন। এ ছাড়াও পরিচিত অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় চলতাম আমরা। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। পিতা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেয়া। আল্লাহর কাছে এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান বৃদ্ধ এই বাবা। আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ, কর্মকর্তা এসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি’র নির্দেশে সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ১৬ই জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। এর পর থেকেই নতুন মাত্রা পায় কোটা বিরোধী আন্দোলন। সন্ধ্যার পরপরই দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। নিহত আবু সাঈদের পরিবারের পাশে থাকবে বেরোবি বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হাসিবুর রশীদ। ১৭ই জুলাই থেকে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়  প্রশাসন।