রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী

রাজকুমারী শিশুদের পাশে দাঁড়ান; জানতে চান, ‘তোমরা কেমন আছো?’ শিশুরা হাসিমুখে উত্তর দেয়, ‘ভালো আছি।’

রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী

প্রথম নিউজ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ আশ্রয়শিবিরে যান ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ। এ সময় রোহিঙ্গা শিশুরা হাত তুলে সালাম দেয় তাঁকে। রাজকুমারী শিশুদের পাশে দাঁড়ান; জানতে চান, ‘তোমরা কেমন আছো?’ শিশুরা হাসিমুখে উত্তর দেয়, ‘ভালো আছি।’ এরপর রাজকুমারী জানতে চান, ‘তোমরা স্কুলে যাও? এখানে (আশ্রয়শিবিরে) স্কুল আছে?’ উত্তরে এক রোহিঙ্গা শিশু বলে, ‘হ্যাঁ, এখানে অনেক স্কুল আছে। আমরা সবাই স্কুলে পড়ছি।’ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার ঘটনা এটি। এরপর হেঁটে যেতে যেতে আরও কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসার কারণ, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা বসতিতে শরণার্থীদের জীবনযাপন, মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান কি না—এসব বিষয়ে তাঁদের কথা শোনেন রাজকুমারী।

মঙ্গলবার সকালে সোয়া আটটার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকতের একটি হোটেল থেকে উখিয়ার উদ্দেশে রওনা হন ডেনমার্কের রাজকুমারী। সোয়া ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৫ আশ্রয়শিবিরে পৌঁছালে ফুল দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাজকুমারী আশ্রয়শিবিরে ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল (ডিআরসি) কর্তৃক পাহাড়ভাঙন রোধ প্রকল্প ও পরিবেশ রক্ষায় সৃজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে বৃক্ষ রোপণ করেন তিনি। পরে ৬ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি ওয়াচ টাওয়ারে ওঠে ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথের সফর ঘিরে ক্যাম্পে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত রাখা হয়। আশ্রয়শিবিরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চলাচলও সীমিত করা হয়। রাজকুমারীর আসা-যাওয়ার সময় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ক্যাম্প থেকে রাজকুমারী যান পার্শ্ববর্তী রাজাপালং ইউনিয়নে পাতাবাড়ি গ্রামে। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। স্থানীয় ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক আশ্রয় দিতে গিয়ে তাঁদের (বাংলাদেশিদের) চাষাবাদ বন্ধ, বনায়ন উজাড় এবং কর্মহীন হয়ে পড়ার কথা তুলে ধরেন রাজকুমারীর কাছে।

ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ গতকাল সোমবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন। ওই দিন বিকেল পাঁচটায় ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছান। সেখানে তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি ওঠেন কলাতলী সৈকততীরের পাঁচ তারকা হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom