মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিয়ে বিএনপির সন্দেহ

 মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিয়ে বিএনপির সন্দেহ

প্রথম নিউজ, ঢাকা : জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে সরকার নানান সময় অপচেষ্টা চালিয়েছে, এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া নতুন কোনো ষড়যন্ত্র কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, একদিকে ভারতের সীমান্তে হত্যা, অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্তে সৃষ্ট সংঘাতে বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারে। ব্যর্থতা দূরে রাখতে সরকার নিজেরাই বাহিরের শক্তিকে নিয়ে কোনো পরিস্থিতি তৈরি করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতায় থাকতে বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি এমন অসহনীয় থাকলে দেশের অর্থনৈতিক, কূটনীতিকসহ সব খাতে বিপর্যয় হবে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।

বিএনপি আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, আন্দোলনের গতিবিধি এক থাকে না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে, আন্দোলনের গতি প্রকৃতি শিগগিরই আরও স্পষ্ট হবে ।

গয়েশ্বর রায় এসময় বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার নিজ অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে আদায় করেছে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রহসনমূলক ও ডামি। নির্বাচনের উদ্দেশ্য জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা আকাঙ্খার প্রতিফলন ছিল না। নির্বাচনের নামে এটি ছিল জাতির সঙ্গে একটি সহিংস প্রতারণা, যার উদ্দেশ্য অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে ও অসাংবিধানিকভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখা।

বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষের এ লড়াই। আজ কেবল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির লড়াই নয়। এ লড়াই জনবিদ্বেষী সরকারের সব দোসরের সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইমলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুদ্দিন আহমেদ, আবুল খায়ের ভুইয়া, সুকোমল বড়ুয়া, তাহসিনা রুশদির লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।