ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসেননি পরীমণি

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসেননি পরীমণি

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলার সাক্ষ্য দিতে আসেনি পরীমণি। হালকা জ্বর ও পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে তিনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পরীমণি সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আজ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পরীমণির আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তিনি সুটিং থেকে বাসায় ফিরে হালকা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পারিবারিক ব্যস্ততা থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেনি। এজন্য আমরা আদালতে সময়ের আবেদন দাখিল করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে পরীমণি তার স্বামী রাজকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের আবেদন করেন। দুই আসামির উপস্থিতিতে পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আদালত পরীমণির আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

একই বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে তাদের আইনজীবী এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, বাদীপক্ষ অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। এরপর গত ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে নাসিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।