ঝিনাইদহে বাড়ির সামনেই আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রোববার দিবাগত রাত অনুমানিক ২টার দিকে আবাইপুর এলাকার ওয়াপদাগেটে ঘটনাটি ঘটে।
প্রথম নিউজ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক ইউপি মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত অনুমানিক ২টার দিকে আবাইপুর এলাকার ওয়াপদাগেটে ঘটনাটি ঘটে। শৈলকুপা সার্কেলের এএসপি অমিত বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত হাবিবুর রহমান রিপন উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে পরিস্থিতি উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাবেক মেম্বার রঞ্জু ও বর্তমান মেম্বার রিপনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার রিপন মেম্বারের সমর্থক মুস্তাক হোসেন নামের একজনকে পিটিয়ে আহত করেন রঞ্জু সমর্থকরা। বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং গরু লুটের ঘটনা ঘটে।
রোববার রিপন মেম্বারের সমর্থকরা রঞ্জু হোসেনের সমর্থক মীনগ্রামের টেটন হোসেন নামে একজনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ দুই দফায় উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিন রাতে বিরোধ মীমাংসায় দুপক্ষের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কয়েক দফা থানায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
একপর্যায়ে গভীর রাতে মুচলেকা নিয়ে ওই চারজনকে থানা থেকে মুক্ত করে দেয় পুলিশ।
এর পর নিহত রিপন মেম্বারসহ তিনজন মোটরসাইকেল চড়ে থানা থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে নিজ বাড়ি থেকে কয়েকশ গজ দূরে আবাইপুর ওয়াপদাগেটে পৌঁছলে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে আহত হন তারা। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে হাবিবুর রহমান রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সার্কেলের এএসপি অমিত বর্মণ যুগান্তরকে বলেন, ঘটনা ঘটার পর এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।