জেরুসালেমের সিনাগগে বন্দুক হামলা

প্রার্থনা শেষে তারা যখন বেরিয়ে আসছিলেন, তখন বন্দুকধারী গুলি করতে শুরু করে। সেই সময় পুলিশের গুলিতে সেও নিহত হয়।

জেরুসালেমের সিনাগগে বন্দুক হামলা
জেরুসালেমের সিনাগগে বন্দুক হামলা

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: জেরুসালেমের একটি সিনাগগে বন্দুক হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে সাত জন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটাই এ ধরণের সবথেকে বড় হামলা। ঘটনাটি ঘটে পূর্ব জেরুসালেমের নেভে ইয়াকভের কাছে। হামলাকারী নিজেও পূর্ব জেরুসালেমের বাসিন্দা। তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া আটটার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে বর্ণনা করেছে পুলিশ। ইসরাইলের পুলিশ কমিশনার কবি শাবতাই সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে তাদের মুখোমুখি হওয়া ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। জানা গেছে, সাবাথ পালনের অংশ হিসাবে ওই সিনাগগে সমবেত হয়েছিলেন ইহুদিরা। প্রার্থনা শেষে তারা যখন বেরিয়ে আসছিলেন, তখন বন্দুকধারী গুলি করতে শুরু করে। সেই সময় পুলিশের গুলিতে সেও নিহত হয়।

যে গাড়িতে করে হামলাকারী সেখানে এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে পুলিশ। ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠনগুলো এই হামলাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, কিন্তু কেউ দায় স্বীকার করেনি। হামলার পর পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডে মিছিল হয়েছে এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এই হামলা এমন দিনে হলো যেদিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির হাতে ৬০ লাখ ইহুদি হত্যাকাণ্ডের স্মরণে হলোকাস্ট মেমোরিয়াল ডে পালন করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইলের পথঘাট তিনি আবার নিরাপদ করে তুলবেন। 
গত বৃহস্পতিবার দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলি বাহিনীর সামরিক অভিযানে নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর থেকেই সেখানে উত্তেজনা চলছে। নিহতদের মধ্যে সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা রয়েছে। গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করার পর ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে ইসরাইল। তারা পুরো শহরটিকে নিজেদের রাজধানী বলে দাবি করে। যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই দাবিতে স্বীকৃতি দেয়নি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: